হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের অঙ্গীকার মনমোহনের

ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত বৃহস্পতিবার মুম্বাই পৌঁছানোর পর তিনি এ অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষ নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
গত বুধবার মুম্বাইয়ের পৃথক তিনটি স্থানে বোমা হামলায় ১৭ জন নিহত ও অন্তত ১৩৩ জন আহত হন। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় হামলা।
হামলায় আহত ব্যক্তিদের অবস্থা পরিদর্শনে মনমোহন হাসপাতালে যান এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি মুম্বাইবাসীর শোক ও ক্ষোভ অনুভব করতে পারছি। তাঁদের এই বেদনা ও ক্ষোভের আমিও একজন ভাগীদার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের কাজ হলো, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা। যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।’
একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মুম্বাই যান। সেখানে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন আলামত ও নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণ করা বিভিন্ন ছবি পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। এ হামলায় কারা জড়িত ছিল, এ ব্যাপারে বলার সময় এখনো আসেনি।
চিদাম্বরম বলেন, হামলার কয়েক দিন আগে গ্রেপ্তার করা ভারতীয় মুজাহিদিনের কয়েকজন সদস্যকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ২০০৮ সালে গুজরাটে বোমা হামলার ঘটনায় ওই সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠী মুজাহিদিন সাধারণত বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁ, বাসস্ট্যান্ড ও ব্যস্ত রাস্তায় কম ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা পেতে রেখে হামলা চালিয়ে আসছে। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে এ গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক আল-কায়েদা বিশেষজ্ঞ রোহান গুণারত্ন বলেন, হামলার ধরন থেকে ধারণা করা যায়, ভারতীয় মুজাহিদিনদের সহায়তায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এ হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দোষারোপ করছে। বিজেপির প্রধান নেতা ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি বলেন, মুম্বাইয়ে বারবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে সরকারের নীতির ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা নয়।

No comments

Powered by Blogger.