পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফায় ৬৩ আসনে ভোট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়। গতকাল হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলার ৬৩টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাওড়ার ১৬টি, হুগলির ১৮টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি এবং বর্ধমান জেলার ১৩টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩৬৬ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৩৯ জন।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসনের নির্বাচন হচ্ছে ছয় দফায়। শুরু হয়েছে গত ১৮ এপ্রিল। গতকাল পর্যন্ত চার দফার নির্বাচনে ২৪২টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। ৭ ও ১০ মে বাকি ৫২টি আসনে ভোট নেওয়া হবে।
সাত মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ: গতকালের নির্বাচনে সাত মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তাঁরা হলেন: শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন, উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী সুদর্শন রায় চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী নরেন দে, অগ্নিনির্বাপণবিষয়ক মন্ত্রী প্রতীম চট্টোপাধ্যায়, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণবিষয়ক মন্ত্রী মোহান্ত চট্টোপাধ্যায়, কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী চক্রধর মাইকাপ এবং তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সৌমেন্দ্রনাথ বেরা।
বিচ্ছিন্ন ঘটনা: চতুর্থ দফার নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের ৭৭টি বুথে সিপিএমকে পোলিং এজেন্ট দিতে দেয়নি তৃণমূল। এর মধ্যে নন্দীগ্রামের ৭৪টি বুথও রয়েছে। এ ছাড়া বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে সিপিএমের প্রার্থী আবদুল কাদের ও তাঁর নির্বাচনী এজেন্টকে মারধর করেছেন তৃণমূলের কর্মীরা। এ ঘটনায় তৃণমূলের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া বালির তৃণমূল প্রার্থী ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিপিএম। হাওড়ায় একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। আরামবাগে পক্ষপাতিত্ব করায় এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমতা, শ্যামপুর ও কাটোয়ার তিনটি বুথে এলাকার উন্নয়ন না হওয়ার প্রতিবাদে ভোটাররা নির্বাচন বয়কট করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে তিন জেলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.