কাল বাজারে আসছে বাংলাদেশ ফান্ড

কাল বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আসছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ ফান্ড’। এরই মধ্যে ফান্ডটির অনুমোদনসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ আজ বুধবার ফান্ডের চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। আজ দুপুরে এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে এসইসি সূত্রে জানা গেছে।
এসইসির সদস্য ইয়াসিন আলী বলেন, ‘ফান্ডটির নিবন্ধনের কাগজপত্র ও নিবন্ধন ফি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এসইসি থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ফান্ড পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ ব্যাপারে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফায়েকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এসইসির চূড়ান্ত অনুমোদনপত্র হাতে পেয়েছি। সুতরাং ফান্ডটি বাজারে আসার ব্যাপারে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’ ফান্ড থেকে কালই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান। এই ফান্ড বাজারে স্থিতিশীলতা আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ফান্ডটির উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক—সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা, জীবন বীমা করপোরেশন, সাধারণ বীমা করপোরেশন ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)।
তারল্যসংকট কাটিয়ে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার আকার হবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পরে ফান্ডটির নাম দেওয়া হয় ‘বাংলাদেশ ফান্ড’, যা একটি ওপেন অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড। ফান্ডটির ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ মুদ্রাবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। পরে এ ফান্ডের আকার আরও বাড়তে পারে।
এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা। প্রতি ১০০টি ইউনিটে একটি মার্কেট লট। এ হিসেবে প্রতি লটের দাম পড়বে এক লাখ টাকা। আইসিবির ওটিসি মার্কেটে ফান্ডটি লেনদেন হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.