চাঁদে পানির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছে ভারতের নভোযান

চন্দ্রাভিযানে একটি বড় ধরনের সাফল্যের ভাগীদার হয়েছে ভারত। মহাকাশ পর্যবেক্ষণের অন্যতম শক্তিশালী যন্ত্র হাবল স্পেস টেলিস্কোপের (এইচএসটি) মাধ্যমে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে, চন্দ্রযান-১-এর মাধ্যমে চাঁদে পানি থাকার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়েছে। গত শনিবার আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি (এএএস) ভারতের এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করে।
চন্দ্রযান-১ চাঁদে পাঠানো ভারতের প্রথম মানবহীন নভোযান। ২০০৮ সালের অক্টোবরে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এই নভোযান পাঠায়।
এইচএসটির মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে চন্দ্র অলটিচিউডুনাল এক্সপ্লোরার (চেস) চাঁদে পানির অস্তিত্ব খুঁজে পায়। এটি চন্দ্রযান-১ থেকে চাঁদে পাঠানো অনুসন্ধান যন্ত্র মুন ইমপ্যাক্ট প্রোবের (এমআইপি) একটি অংশ।
নাসা ১৯৯০ সালে মহাকাশ যান ডিসকভারির মাধ্যমে এইচএসটিকে মহাশূন্যে পাঠায়। এএএসের এই ঘোষণার কথা উল্লেখ করে চেসের প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী তীর্থ প্রতিম দাস ভয়েজ সাময়িকীতে উল্লেখ করেন, চন্দ্রযান-১-এর মাধ্যমে ভারত চাঁদে যে অভিযান চালায়, এতে এমআইপির ভেতর চেসের পরীক্ষায় ওই উপগ্রহে পানির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তীর্থ দাস বলেন, যন্ত্রটি যে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে, সে অনুযায়ী চাঁদে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.