মুক্তিযুদ্ধ- আমরা তাঁদের ভুলতে পারি না by সৈয়দ আবুল মকসুদ

কোনো জাতির স্বাধীনতাসংগ্রাম একটি সর্বোচ্চ রাজনৈতিক বিষয়। সুতরাং তা রাজনৈতিক নেতৃত্বেই হয়ে থাকে। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা স্বাধীনতাসংগ্রাম জয়যুক্ত হওয়া অসম্ভব, যদি না সর্বস্তরের জনগণের পূর্ণ সমর্থন থাকে এবং যদি বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সক্রিয় সহযোগিতা না থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাও রাজনৈতিক নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। সহযোগিতা দিয়েছে সব শ্রেণীর মানুষ।
বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার সংগ্রাম দীর্ঘদিনের। কিন্তু স্বাধীনতার জন্য যে সশস্ত্র সংগ্রাম তা অপ্রস্তুত বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় আকস্মিকভাবে—প্রায় রাতারাতি। ফলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য যে ন্যূনতম প্রস্তুতি দরকার তা বাঙালির ছিল না। সেই সুযোগে ইতিহাসের নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত করা পাকিস্তানি সামরিক জান্তার পক্ষে সহজ হয়।
ভিয়েতনামের মুক্তিসংগ্রাম বহু বছরব্যাপী হয়েছে। তার সপক্ষে ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ে ওঠে। বিশ্ববিবেক ছিল ভিয়েতনামি জনগণের পক্ষে। তা ছাড়া ভিয়েতনামের অসাধারণ নিবেদিত নেতৃত্বের পরিচিতি ছিল সারা পৃথিবীতে। হো চি মিন ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় বিপ্লবী নেতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সে রকম ব্যাপার ছিল না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব যাঁদের হাতে ছিল তাঁরা ছিলেন দেশের বাইরে অপরিচিত। বাস্তবতা হলো, একাত্তরে ভারতের জনগণও একমাত্র শেখ মুজিব ছাড়া আর কোনো আওয়ামী লীগের নেতার নাম জানত না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সেই অপরিচিতির ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় নেতারা। এই বিব্রতকর বিষয়টি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
আগে বলেছি, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল আকস্মিকভাবে ও অপ্রস্তুত অবস্থায়। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বহির্বিশ্বে আমাদের নিজেদের পক্ষ থেকে প্রচারণার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। স্বাধীনতাকামী প্রবাসী বাঙালিরা সাধ্যমতো অল্পবিস্তর প্রচারকাজ শুরু করেছিলেন। বিবিসি ছাড়া পশ্চিমের খুব কম প্রচারমাধ্যমই পাকিস্তানি বর্বরতা ও মুক্তিসেনাদের খবরাখবর গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশন করত। পশ্চিমা গণমাধ্যমের এই ভূমিকা প্যারিসপ্রবাসী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে ব্যথিত করেছিল, তা বন্ধুদের কাছে লেখা তাঁর চিঠিপত্র থেকে জানা যায়।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচার ছিল বহুমাত্রিক। যে হিন্দুদের নামও শুনতে পারতেন না পাকিস্তানি শাসকেরা, খুঁজে খুঁজে তাঁদেরও দু-একজনকে বের করে তাঁদের দিয়ে লিখিয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অসারতা ব্যাখ্যা করে লেখা লন্ডনপ্রবাসী নীরদচন্দ্র চৌধুরীর প্রবন্ধ পুস্তিকা আকারে ছেপে হাজার হাজার কপি সারা দুনিয়ায় বিলি করেছে পাকিস্তানি সরকার। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সে রকম করা সম্ভব হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে বহু প্রবাসী বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যাপারটি যত বড় ও গুরুতর, সে তুলনায় তা ছিল একেবারেই অনুল্লেখযোগ্য।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার বেশ কিছুকাল পর ভারত সরকারের সহযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার তাদের বিশেষ প্রতিনিধি পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু যে সরকারের নেতাদের বাইরের লোকেরা চেনে না, তাদের প্রতিনিধির কথার গুরুত্ব কতটাই বা হতে পারে? তাঁদের কথা কেউ শুনেছেন তো কেউ শোনেননি, কেউ গুরুত্ব দিয়েছেন তো কেউ কোনো গুরুত্বই দেননি। এদিকে বাংলাদেশে গণহত্যা ও নির্যাতন ক্রমাগত বাড়তেই থাকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ-সংগ্রামও দুর্বার আকার ধারণ করে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে পৃথিবীর মানুষের যে মাত্রায় সাড়া দেওয়া উচিত ছিল তা দেয়নি। না দেওয়ার কারণ প্রচারে আমাদের দুর্বলতা।
কিন্তু বাংলাদেশ-প্রশ্নে বিশ্ববিবেক ঘুমিয়ে ছিল, তাও বলা যাবে না। শান্তিকামী ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ নানা দেশে বিচ্ছিন্নভাবে পাকিস্তানি বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সেকালের অন্যতর পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে সামান্য সমর্থন দেওয়ায় আরেক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়। মার্কিন সরকার বাংলাদেশের মানুষের পাশে না থাকলেও মার্কিন জনগণের অনেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের সাহায্যে বহু আমেরিকার নাগরিক এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বাঙালির পক্ষে সবচেয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরটি ছিল যাঁর, তিনি হলেন জর্জ হ্যারিসন। একাত্তরের আগস্টে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত তাঁর ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নৈতিক অবস্থানকে যেমন বিশ্ববাসীর কাছে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল, তেমনই তা পাকিস্তানি শাসকদের পিলে চমকে দিয়েছিল। জর্জ হ্যারিসনের কাছে বাঙালির ঋণ অপরিশোধ্য।
পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর কাছে বিটলস সংগীতগোষ্ঠীর প্রাণপুরুষ জর্জ হ্যারিসন ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর যেকোনো গানেরই আবেদন ছিল তাদের কাছে অপরিমেয়। তিনি যখন বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষ ও স্বাধীনতাসংগ্রামীদের সপক্ষে নিউইয়র্কের মতো মহানগরের প্রাণকেন্দ্র ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে কনসার্টের আয়োজন করেন, তা আমেরিকার জনগণ ও পৃথিবীর যুবসমাজকে প্রবলভাবে আলোড়িত করে।
দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ হয়েছিল একাত্তরের পয়লা আগস্টে। মূল আয়োজক ছিলেন জর্জ হ্যারিসন এবং পণ্ডিত রবিশংকর। তাতে যেসব শিল্পী অংশগ্রহণ করেন তাঁরা হলেন: বব ডিলান, জিম কেল্টনার, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, বিলি প্রেস্টন, ওস্তাদ আল্লাহ রাখা, এরিক ক্ল্যাপটন, লিওন রাসেল, রিংগো স্টার, ক্লাউস ভুরমান এবং স্বয়ং জর্জ হ্যারিসন ও রবিশংকর।
ওই কনসার্টের রেকর্ড বাংলাদেশের অনেকের কাছেই আছে। ডিস্কের প্রথম দিকে ইনট্রোডাকশনে ছিলেন হ্যারিসন ও রবিশংকর। আরও ছিল বাংলা ধুন, ওয়াহ ওয়াহ, মাই সুইট লর্ড, ওয়েটিং অন ইউ অল, দ্যাটজ দ্য ওয়ে গড প্ল্যানড ইট, জাস্ট লাইক অ উইম্যান এবং বব ডিলানের বিখ্যাত ব্লৌন ইন দ্য উইন্ড প্রভৃতি। শেষ সংগীতটি ছিল ‘বাংলাদেশ’। সংগীত পরিচালনা করেছিলেন সল স্যুইমার। প্রযোজনা ছিল জর্জ হ্যারিসন ও অ্যালান ক্লেইনের।
২০০৫-এ দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ করে নতুন রেকর্ড বাজারে ছাড়া হয়। এটিও এক অবিস্মরণীয় কাজ। সিকি শতাব্দীতে প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে অসামান্য। সুতরাং এবারের রঙিন রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ। দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় যুক্ত হয়েছে একটি ডকুমেন্টারি। তাতে বক্তব্য রয়েছে হ্যারিসন ও তাঁর সহশিল্পী বন্ধুদের। আরও আছে প্রথমবার যা ছিল না তাও। যেমন—একাত্তরে রিহার্সেলের অংশবিশেষ, সাউন্ড চেক এবং আফটারনুন শো: ইফ নট ফর ইউ, কাম অন ইন মাই কিচেন, লাভ মাইনাস জিরো প্রভৃতি।
নতুন ডিভিডিতে আর যে সংযোজন রয়েছে তা হলো জীবিত শিল্পীদের সাক্ষাৎকার, কীভাবে ফিল্মটি তৈরি করা হয়, কীভাবে অ্যালবাম তৈরি করা হয়, একাত্তরের মূল আর্টওয়ার্ক, শিল্পীদের সেদিনের স্মৃতিচারণা। শিল্পী ও কুশলীদের সবাই আজ প্রবীণ ও বৃদ্ধ। কেউ কেউ বেঁচে নেই।
একাত্তরের কনসার্টে সেতারে ছিলেন রবিশংকর, সরোদে আলী আকবর খাঁ, তবলায় আল্লাহ রাখা, গিটারে এরিক ক্ল্যাপটন, কি-বোর্ডে বিলি প্রেস্টন, ড্রামে রিংগো স্টার এবং তাম্বুরায় কমলা চক্রবর্তী। কণ্ঠসংগীতে ছিলেন হ্যারিসন, বব ডিলান, বিলি প্রেস্টন ও লিওন রাসেল। ডিলান অবশ্য গিটার ও হার্মোনিকাতেও ছিলেন। তাঁদের নাম উল্লেখ করার কারণ, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের ঋণের পরিমাণ বিরাট। দুঃখের বিষয়, তাঁদের অনেকেই আজ আর জীবিত নেই। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের খোঁজ বাঙালি রাখে না।
ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার দর্শকের সামনে জর্জ হ্যারিসন বলেছিলেন: চাইলে আমরা বিপুল টাকা তুলতে পারি বাংলাদেশের হতভাগ্যদের জন্য। কিন্তু টাকার চেয়ে বেশি এ মুহূর্তে যা তাদের দরকার, তা হলো বিশ্ববাসীর সহানুভূতি এবং তাদের ন্যায়সংগত সংগ্রামে সমর্থন। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে জনমত তৈরি করতেই আজ আমাদের এই আয়োজন।
হ্যারিসন সেদিন আরও বলেছিলেন: বাংলাদেশের প্রশ্নে আমাকে এই কনসার্টের আয়োজন করতে আমার বন্ধু রবিশংকর আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। একাত্তরের স্মৃতিচারণা করেছেন সেদিনের শিল্পীদের আরও কেউ কেউ, যেমন বব ডিলান, লিওন রাসেল প্রমুখ।
রবিশংকর বলেছেন, সেদিন বিপুল পরিমাণ অর্থও সংগ্রহ করা হয়েছিল বাঙালি শরণার্থীদের জন্য। আমার প্রিয় বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া তা সম্ভব হতো না। রবিশংকর আর যে কথাটি বলেছেন তা আক্ষরিক অর্থেই যথার্থ, ইট ওয়াজ ওয়ান অব দ্য মোস্ট মুভিং অ্যান্ড ইনটেনস মিউজিক্যাল এক্সপেরিয়েনসেস অব দ্য সেঞ্চুরি—সেটি ছিল শতাব্দীর সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও আবেগপূর্ণ সাংগীতিক অভিজ্ঞতা।
প্রায় ৩৫ বছর পর রবিশংকর আরও বলেন, বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় কোন কোন কনসার্ট আমার স্মৃতিতে চিরভাস্বর। এর জবাব দেওয়া কঠিন, কারণ আমার শিল্পীজীবন পঁচাত্তর বছরের বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। তবে এ কথা বলতে পারি, বাংলাদেশ কনসার্টটি আমার জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে সেটি আমারই মস্তিষ্কপ্রসূত। তা ছাড়া যে মানুষগুলোর সাহায্যার্থে ওই আয়োজন তারা আমার হূদয়ের খুব কাছের মানুষ, কেউ কেউ আমার দূর-সম্পর্কের আত্মীয়ও বটে—অফ কোর্স, বিয়িং ডিস্ট্যান্টলি রিলেটেড টু মি।
বহু বছর পর লিওন রাসেল, বব ডিলানও একই রকম অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁদের সেদিনের অবদানের কথা আমাদের শাসকশ্রেণী ও রাজনীতিকেরা ভুলে গেছেন। সেদিনের তাঁদের অবিস্মরণীয় কাজের স্বীকৃতি যেভাবে দেওয়া উচিত ছিল তা দেওয়া হয়নি।
জর্জ হ্যারিসন ও তাঁর সহশিল্পীরা সেদিন দুটি কাজ করেছিলেন। এক. পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং অতি উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে বিশ্ববাসীকে বলেছিলেন, তোমরা চুপ করে বসে থেকো না; অসহায়-নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াও এবং এই বর্বরতার প্রতিবাদ করো। দুনিয়ার দশটি দেশের সরকারপ্রধানদের আহ্বানে যে কাজ না হতো, জর্জের ডাকে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ হয়েছিল। মানবতাবাদী সংগীতশিল্পীর এই কাজটি মানবিক।
জর্জের দ্বিতীয় কাজটি আরও গুরুত্বপূর্ণ, তার তাৎপর্য রাজনৈতিক। সেদিন হলো: বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানুষ জানত ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে—যা পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ। যারা ইতিহাস একটু বেশি জানত এবং যাদের বইপত্র পড়ার অভ্যাস ছিল, তাদের কাছে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল বেঙ্গল বা ইস্ট বেঙ্গল বলে। জর্জের কনসার্টের পর বিশ্ববাসী জানল যে ‘বাংলাদেশ’ নামের একটি দেশ আছে, যে দেশটি ২৪ বছর ধরে পাকিস্তানের অংশ। কিন্তু তাকে পাকিস্তানের শাসকেরা ন্যায্য অধিকার দেয়নি। তারপর যেদিন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার দাবি করল, সেদিন পাকিস্তানি শাসকেরা ঝাঁপিয়ে পড়ল বাংলার মানুষের ওপর হায়েনার চেয়ে বেশি হিংস্রতায়। বাংলার মানুষ স্বশাসন চায়, তারা স্বাধীনতা চায়। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সেই স্বাধীনতা যে শুধু হরণ করেছে তা-ই নয়, স্বাধীনতা চাওয়ার অপরাধে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর চালাচ্ছে গণহত্যা।
হ্যারিসনের কনসার্টের বার্তাটি ছিল: গণহত্যা বন্ধ করো এবং দেশটির মানুষকে মুক্তভাবে বাঁচতে দাও। তাঁর সেদিনের আবেদন বিশ্ববাসীর কানে গিয়েছিল।
জর্জ হ্যারিসন ২০০১ সালে মারা যান। তাঁর সহশিল্পী ও বন্ধুদের অনেকেই চলে গেছেন। তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য স্বীকৃতি বাংলাদেশ সরকারের থেকে পাননি। তবে আমরা কোনোক্রমেই তাঁদের ভুলতে পারি না।
=========================
সংবিধানের অনেক বক্তব্য পারস্পরিক সংঘাতমূলক  পরাশক্তির বিরুদ্ধে এক ‘ভবঘুরের’ স্পর্ধা  আবু সাঈদ চৌধুরীর ভাষণ দেওয়া হলো না  শুভ নববর্ষ ২০১১- দিনে দিনে বর্ষ হলো গত  এরশাদের বিচারে দুই দলেরই আগ্রহ কম  কিশোরদের সাদামাটা ফল  জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৫২ জন  এরশাদের বিচার হওয়া উচিত  ছোটদের বড় সাফল্য  প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাঃ পাস ৯২%, প্রথম বিভাগ বেশি  বাংলাদেশের বন্ধুঃ জুলিয়ান ফ্রান্সিস  নিষ্ফল উদ্ধার অভিযানঃ দখলচক্রে ২৭ খাল  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভ টিজিং : জরুরি ভিত্তিতে যা করণীয়  প্রতিশ্রুতির দিন  শোকের মাস, বিজয়ের মাস  চীনা প্রধানমন্ত্রীর পাক-ভারত সফর  দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীন মন্তব্য  নতুন প্রজন্ম ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  খিলক্ষেতে আগুনঃ কয়েলের গুদামে রাতে কাজ হতো ঝুঁকিপূর্ণভাবে  ভারতে বিহার রাজ্যের নির্বাচন  স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পথে  আমাদের আকাশ থেকে নক্ষত্র কেড়ে নিয়েছিল যারা...  মুক্তির মন্দির সোপান তলে  আবেগ ছেড়ে বুদ্ধির পথই ধরতে হবে  বছর শেষে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ  দুই কোরিয়ার একত্রিকরণ কি সম্ভব  গ্যাসের ওপর বিপজ্জনক বসবাস  উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ  সময়ের দাবি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি  জনসংখ্যা বনাম জনশক্তি  ব্যাংকের টাকা নয়ছয় হওয়া উচিত নয়  একটি পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচিত্র  পাটশিল্প ঘুরিয়ে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা  ড. ইউনূসকে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে  সুশিক্ষার পথে এখনও বাধা অনেক  ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ ও মর্যাদাহানির পরিণাম কখনই শুভ হয় না ঘুষ ও লুটপাট উভয়ের বিরুদ্ধে একই সাথে লড়তে হবে  সুনীতি ও সুশাসন  আমি কেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ সৈয়দ আবুল মকসুদ
গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.