পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান ওবামা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জন্য তাঁরা নিরাপদ ও নিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান। আর এটিই তাঁর প্রশাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলো আমরা ধ্বংস করতে চাই। আফগান কৌশলের ক্ষেত্রে এটি আমাদের প্রধান বিষয়।’ ওবামা বলেন, ‘আমরা আফগান ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে কাজ করে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে করে জঙ্গি সংগঠনগুলো নির্মূল হয়ে যায়।’ খবর দ্য ডন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত আরও প্রসারিত করব।’ ওবামা আল-কায়েদার সঙ্গে লড়াইয়ে কারজাইকে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হিসেবে অভিহিত করেন।
ওবামার বক্তব্যের পর তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জিম জোনস সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে আফগান প্রেসিডেন্ট আগামী মাসে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল আন্ডার ফগ রাসমুসেন শিকাগোতে বলেন, ‘কারজাই হয়তো সব সময় ন্যাটো জোট যা চায় তা করেন না বা বলেন না। কিন্তু আমরা তাঁর ও তাঁর সরকারের কাছ থেকে অনেক ভালো সহায়তা পেয়েছি। যদিও সম্প্রতি কারজাই কিছু সমালোচনামূলক বক্তব্য দেন।’ তিনি আফগান বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের জন্য বিদেশিদের দায়ী করেন।
ওবামা বলেন, ‘২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে যারা তিন হাজার লোক হত্যা করেছে, সেসব জঙ্গি আফগান ও পাকিস্তানে লুকিয়ে আছে। তাই আমরা সেখানে অবস্থান করছি।’ তিনি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, এখনো তারা আমেরিকানদের হত্যার জন্য পরিকল্পনা করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি, আফগান কৌশলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান বিষয় হলো আল-কায়েদাকে নির্মূল করা। এরপরই আমরা সেখান থেকে ফিরে আসব।’
কারজাইকে ওবামার চিঠি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে তাঁর সরকারের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার আফগান সরকার এ খবর জানায়।
তারা জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠিতে সম্প্রতি তাঁর কাবুল সফরে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কারজাইকে ধন্যবাদ জানান। চিঠিতে ওবামা বলেছেন, আগামী ১২ মে আফগান প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসবেন। তাঁর ওই সফরের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আফগানিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই চিঠিটি হস্তান্তর করেন। তবে কবে চিঠিটি লিখেছেন বা কবে কারজাই এটি গ্রহণ করেছেন এ সম্পর্কিত কোনো তারিখ জানা যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.