ঋণে জর্জরিত গ্রিসকে যুদ্ধজাহাজ কেনার চাপ দিচ্ছে ফ্রান্স-জার্মানি

ঋণে জর্জরিত ইউরোপের দেশ গ্রিসকে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে ফ্রান্স ও জার্মানি। এ জন্য প্রয়োজনে গ্রিসকে সরকারি ব্যয় কমানোর কথাও বলেছে তারা।
গ্রিসের সরকারি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, অর্থনৈতিক মন্দার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বার্লিন ও প্যারিস অস্ত্র কিনতে এথেন্সকে চাপ দিচ্ছে। ঋণে জর্জরিত হয়ে গ্রিস যখন নিজের প্রতিরক্ষা ব্যয় কমাতে চাইছে, তখন তাদের ওপর এই চাপ আসছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রুর একজন উপদেষ্টা বলেন, ‘জার্মানি ও ফ্রান্স আমাদের সরাসরি অস্ত্র কেনার কথা বলছে না। কিন্তু বিষয়টা এমন যে অস্ত্র কিনলে তারা আমাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে।’ কূটনৈতিক কারণে নাম প্রকাশ করতে চাননি প্রধানমন্ত্রীর ওই উপদেষ্টা।
ফ্রান্স ছয়টি রণতরী, ১৫টি হেলিকপ্টার ও ৪০টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে গ্রিসকে। দুই দেশের কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টির সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত। দেশের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সহায়তার জন্য গত মাসে ফ্রান্স সফর করেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপানদ্রু। তখন দুই নেতার মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা।
এদিকে জার্মানিও একটি ডুবোজাহাজ কেনার জন্য এথেন্সকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এর আগে গ্রিস ২০০৬ সালে ওই ডুবোজাহাজ কিনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সাবেক প্রধান নিক উইটনি বলেন, ঋণগ্রস্ত দেশ গ্রিসকে সহায়তা দিতে এটা এক ধরনের হাস্যকর পন্থা। তবে তিনি জার্মান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, এর আগে জার্মানির কাছ থেকে ট্যাংক কেনার পর অর্থ পরিশোধে ঝামেলা করেছিল গ্রিস। এ কারণে বার্লিন এমন করছে।
তবে গ্রিসের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী পানোস বেগলিটিস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ট্যাংক কেনা নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করতেই কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর কোনো ঝামেলা হয়নি। তিনি অবশ্য গ্রিসের মন্দার সুযোগ নিয়ে জার্মানি ও ফ্রান্সের অস্ত্র কিনতে এথেন্সকে চাপ দেওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.