পর্নো তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে ১৩০০০০ ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাসখানেক আগে স্টেফানি ক্লিফোর্ড নামের এক পর্নো তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামেপর আইনজীবী। ২০০৬ সালে ট্রামপ ও ক্লিফোর্ডের মধ্যে ঘটা এক শারীরিক সমপর্কের বিষয়ে চুপ থাকার জন্য তাকে ওই অর্থ পরিশোধ করেন মাইকেল কোহেন। শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য হারেৎস।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রামপ অর্গানাইজেশনের হয়ে কাজ করা আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের একমাস আগে ক্লিফোর্ডের সঙ্গে একটি ‘নন-ডিসক্লোজার’ চুক্তি করেন। চুক্তি অনুসারে, ক্লিফোর্ড ট্রামেপর সঙ্গে তার শারীরিক সমপর্কের বিষয়ে চুপ থাকতে ও জনসম্মুখে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছিলেন। জার্নালের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, স্টেফানি ক্লিফোর্ড তার সাবেক কর্মজগতে স্টোর্মি ড্যানিয়েলস নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম ট্রামেপর সংসপর্শে আসেন ২০০৬ সালের জুলাই মাসে- যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা নাভাদা’র লেক তাহোয়ে’তে অনুষ্ঠিত এক গলফ প্রতিযোগিতায়।
উল্লেখ্য, এর এক বছর পরেই মেলানিয়ার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন ট্রামপ। প্রাথমিকভাবে মুখ বন্ধ রাখতে সম্মত হলেও, ক্লিফোর্ড তার প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে অর্থ না পাওয়ায় চুক্তি নিয়ে অভিযোগ করেন ও বিষয়টি ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে তার আইনজীবী কেইথ ডেভিডসনের মাধ্যমে অবশ্য তিনি পুরো অর্থই পান। সে অর্থ লস অ্যানজেলেসের সিটি ন্যাশনাল ব্যাংকে একটি তহবিলে জমা রাখা হয়। সমপ্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের অপর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ৩৮ বছর বয়সী পর্নো তারকা দুই বছর আগে ট্রামপকে নিয়ে কথা বলতে মার্কিন টিভি চ্যানেল এবিসি’র অনুষ্ঠান, গুড মর্নিং আমেরিকা’য় আসার জন্য আলোচনা করেছিলেন। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ক্লিফোর্ড এই প্রতিবেদনগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে ডেভিডসন স্বীকার করেন যে, তিনি পূর্বে ‘স্টোর্মি ড্যানিয়েলস’-এর আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু আইনজীবী-মক্কেল বিশেষাধিকারের কারণে তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারবেন না।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় ট্রামেপর আইনজীবী কোহেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রামপ আরো একবার ড্যানিয়েলসের তীব্রভাবে এরকম কোনো ঘটনার কথা অস্বীকার করছেন। এমনকি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ব্যাপকভাবে তিরস্কার করেন। তিনি বলেন, এই বার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আপনারা আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। আপনারা এক বছর ধরে এই মিথ্যা অভিযোগগুলো চিরস্থায়ী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ সব পক্ষই ২০১১ সাল থেকে প্রতিনিয়ত অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক নামহীন হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, অভিযোগগুলো মূলত পুরনো প্রতিবেদন যেগুলো নতুন করে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি এগুলো জোরালোভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। আর নির্বাচনের আগ থেকেই এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.