সাতরাস্তার সংযোগ সড়কে দলীয় কার্যালয় বহাল

তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড় থেকে সামনে উড়ালসড়ক থেকে নেমে পশ্চিম দিকে মোড় নিলেই ফুটপাতজুড়ে দেখা যাবে ভাঙা স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ আর গাছের বড় বড় টুকরা। পাশেই ফুটপাত থাকলেও দেখা যায় না। কারণ, সেখানে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ নম্বর ইউনিট কার্যালয়।
কিছু দূর গেলে ফুটপাতজুড়ে দেখা যাবে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ইউনিট কার্যালয়। গতকাল বুধবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে এই অবস্থা দেখা যায়। এই সংযোগ সড়কটিতে এখন পর্যন্ত গাড়ির বডি তৈরির কারখানা বহাল রয়েছে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাস খানেক আগে এখানকার ফুটপাতগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করা হলেও দলীয় কার্যালয়গুলোয় হাত দেওয়া হয়নি। শিল্পাঞ্চল থানা-পুলিশ এখানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। মূলত পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে দখলমুক্ত করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কার্যালয়ের জন্য ফুটপাতে হাঁটার উপায় নেই। এলাকায় এ ধরনের আরও কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন দলের বা অঙ্গসংগঠনের। অভিযানে এসব স্থাপনাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশীদ বিষয়টি অস্বীকার করে গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, থানা থেকে কোনো অবৈধ স্থাপনা এড়িয়ে যাওয়া হয়নি। বিষয়টি সম্পূর্ণ সিটি করপোরেশনের।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আবারও অভিযান করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুলডোজারও দিতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ প্রান্তের মিনি ট্রাকস্ট্যান্ড রোড ঘুরে দেখা গেল সড়কটি আগের তুলনায় আরও সরু হয়ে গেছে। চলছে বড় বড় কাভার্ড ভ্যানের বডি তৈরির কাজ। তেজগাঁও শিল্প এলাকার মদিনা মসজিদের উত্তর পাশের ৩০ ফুট চওড়া এই সংযোগ সড়কের কোথাও কোথাও গাড়িতে রং লাগানোর কাজও চলছে। সড়কের যেটুকু অংশ খালি, সেখানে লোহা ও ইস্পাতের অংশ রাখা। এতে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। চলতে চলতে পথচারী হোঁচট খাচ্ছেন। তানভীর মোটরস, রুমা মোটরস, মায়ের দোয়া, নিউ হাসান মোটরস, জনি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসসহ বিভিন্ন দোকান বা গ্যারেজের সামনে চলছে কাজ। মাঝেমধ্যেই ব্যক্তিগত গাড়িচালকেরা চিৎকার দিলে চলার মতো রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগ করা হলে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, একাধিকবার উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হলেও আবার ওয়ার্কশপ গড়ে ওঠে। চলাচলের রাস্তাটি ওয়ার্কশপ হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.