গল্পটা মোগলাই খাবারের

তন্দুরি চিকেন, চিকেন হারিয়ালি কাবাব, চিকেন রেশমি কাবাব, চিকেন ভর্তা, মাটন হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি, মাটন কড়াইসহ নানা পদের খাবারের সমাহার। ভিন্ন স্বাদের, ভিন্ন দামের এসব খাবারের মধ্যে একটি মিল রয়েছে। তা হলো, এগুলো সবই মোগলাই খাবার। পাওয়া যাবে রোদেলা বিকেল রেস্তোরাঁয়। কেবল এসব পদ নয়, এই রেস্তোরাঁর মোগলাই খাবারের মেনুটা বেশ লম্বা। রোদেলা বিকেলের গল্পটা তাই মোগলাই খাবারের বললে ভুল হবে না।
নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পাড়ার এই রেস্তোরাঁ ইতিমধ্যে ভোজনরসিকদের মন জয় করেছে। অবশ্য লোকজন কেবল মোগলাই খাবার খেতে এই রেস্তোরাঁয় ভিড় করেন ভাবলে ভুল হবে। এখানকার দেশি অর্থাৎ খাটি বাংলা খাবারও কম জনপ্রিয় নয়। এ ছাড়া রান্নায় নানা দেশের মসলা ও বিশুদ্ধ উপকরণ ব্যবহার করে এই রেস্তোরাঁ। এই কারণে ক্রেতা-ভোক্তাদের কাছে পরিচিতি পেয়েছে রোদেলা বিকেল। মোগলাই, বাংলা, থাই ও চায়নিজ খাবারের মুখরোচক পদ আছে রোদেলা বিকেলে। বাংলা খাবারের মধ্যে মুরগির দুই ধরনের, গরুর দুই ধরনের ও ছাগলের তিন ধরনের পদ পাওয়া যাবে এই রেস্তোরাঁয়। রয়েছে চিনিগুঁড়া চালের ভাতসহ ৬০ টাকা থেকে ২৮০ টাকার মধ্যে পাঁচ ধরনের ভাত। এখানে ১৫০ টাকায় চিতল মাছের কোপ্তা, ২০০ থেকে ৬০০ টাকায় কাচকি, বোয়াল, কোরাল, চিতল, রুপচাঁদা, ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন দামের ১৭টি বিশেষ বাংলা খাবারের পদ মিলবে। এখানকার বিশেষ দুপুরের খাবারের প্যাকেজের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে চিনিগুঁড়া চালের ভাত, মেজবানি মাংস, দেশি মসুরের ডাল ও আলুভর্তা দিয়ে তৈরি ২৪০ টাকা দামের প্যাকেজটি। মোগলাই খাবারের মধ্যে প্রতি পিস তন্দুরি চিকেন ১১০ টাকায়, চার পিস চিকেন রেশমি কাবাব ২৮০ টাকায়, চার পিস চিকেন হারিয়ালি কাবাব ২৫০ টাকায়, বিফ বটি কাবাব ২২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে চার ধরনের মাছের কাবাব, ২৯০ টাকায় চিকেন ভর্তা, ২৬০ টাকায় চিকেন মাসালা ও ২৪০ টাকায় চিকেন লিভার ফ্রাইসহ সাত ধরনের চিকেন কারির পদ পাবেন এখানে।
রয়েছে খাসি ও গরুর দুই ধরনের পদ। এ ছাড়া সালাদ খেতে চাইলে পাবেন মিক্সড রায়তা সালাদ, অনিয়ন সালাদ ও মিক্সড সালাদ নামে তিন ধরনের সালাদ। গার্লিক নান, লাচ্ছা পরোটাসহ ২৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছয় ধরনের নান ও পরোটা পাওয়া যবে রোদেলা বিকেলে। থাই ও চায়নিজ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফ্রায়েড অন্থন, চিকেন প্রন কেশুনাট সালাদ ও চার ধরনের স্যুপ। এ ছাড়া চিকেন ফ্রায়েড রাইস, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস, চিকেন নুডলস ও মিক্সড নুডলস পাওয়া যাবে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকার মধ্যে। রয়েছে বিভিন্ন দামের ১৩ ধরনের জুস। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে এই রেস্তোরাঁ। তবে প্রতি শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত বিশেষ খাবারের আয়োজন থাকে রোদেলা বিকেলে। এ সময়টাতে এখানে মিলবে ঘিয়ে ভাজা পেপার পরোটা, চিনিগুঁড়া চালের রুটি, সুজির হালুয়া, খাসির পায়া, খাসির আখনি, বিফ নলা, দেশি গরুর কালো ভুনা, দেশি মুরগির স্যুপ, মিক্সড ভেজিটেবল, খাসির মাথা দিয়ে ছোলার ডাল ও গরুর দুধের সরের চা। সম্পূর্ণ ওয়াইফাইযুক্ত রোদেলা বিকেলে একসঙ্গে খাবার খেতে পারে ১২৫ জন। রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সাইনু সাবের বলেন, ‘আমরা খাবারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদান ব্যবহার করি না। খাবারের মান নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে, তাই রান্নাঘর উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। যে–কেউ চাইলেই খাবার বানানোর পুরো প্রক্রিয়া দেখে নিতে পারবে।’ খাবারের পাশাপাশি এই রেস্তোরাঁয় মিলবে নয় পদের মিষ্টি। এসব পদের মধ্যে প্রতি কেজি রসমালাই, রসগোল্লা, রাবরি সন্দেশ, গুড় সন্দেশ, ছানা জিলাপি, কাজু বরফি ও ডায়াবেটিক সন্দেশ কিনতে গুনতে হবে এক হাজার টাকা।

No comments

Powered by Blogger.