একটি জগাখিচুড়ি নির্বাচন হচ্ছে

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেটাই এখন দেখার  বিষয়। ইসি নির্বাচনকে কতটা মনিটরিং করতে পারবে, রিটার্নিং অফিসারদের কতটা নিয়ন্ত্রণে  রাখতে পারবে তার ওপরই নির্ভর করবে পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না। অতীতের নির্বাচন নিয়ে ইসির অনেক বির্তক রয়েছে। ভোটারদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যা হয়েছে, তা পুরো দুনিয়া দেখেছে। আশা করি, এবার নির্বাচন কমিশন নিরাশ করবে না। তিনি মানবজমিনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়ররা দলীয় প্রতীকে আর কাউন্সিলররা অন্য প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন আমার বোধগম্য নয়। এটি একটি জগাখিচুড়ি নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ধরনের নির্বাচন হয় কি না তা নিয়ে অনেক গবেষণা করেছি। কিন্তু কোথাও এ ধরনের নির্বাচন দেখতে পেলাম না। এ ধরনের নির্বাচনে  মনোনয়ন দুর্নীতি বাড়বে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্থানীয় জনগণই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকে। এখানে দলের চেয়ে ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। স্থানীয়ভাবে যার গ্রহণযোগ্যতা বেশি সেই নির্বাচিত হোন। কিন্তু দলীয় মনোনয়নে দলীয় লোকদেরই প্রাধান্য দেয়া হবে, ক্লিন ইমেজের লোক মনোনয়ন না-ও পেতে পারে। এতে করে সহিংসতা বাড়তে পারে। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন  যদি আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ করতে না পারে তবে আগের নির্বাচনগুলোর চেয়ে এ নির্বাচনে সহিংসতা বেড়ে যাবে। বেশ কিছু নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছাড়া বাকি সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে। বাকি প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন বাতিল করা হলো এ বিষয়গুলো যদি নির্বাচন কমিশন পরিষ্কার না করে তবে মানুষের মনে ইসিকে নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেন সাখাওয়াত হোসেন।

No comments

Powered by Blogger.