আকাশে উড়লেন সেনাবাহিনীর দুই নারী পাইলট

সেনাবাহিনী দুজন নারী শিক্ষানবিশ পাইলট প্রথমবারের মতো আজ বুধবার সফলভাবে প্রশিক্ষণ বিমানে একক ও দ্বৈত উড্ডয়ন পরিচালনা করেছেন। ঢাকার তেজগাঁওয়ে আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপে সেসনা ১৫২ এ্যারোপেক প্রশিক্ষণ বিমানের মাধ্যমে একক উড্ডয়ন ও দ্বৈত উড্ডয়ন পরিচালনা করেন তাঁরা। এরা হলেন ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার। বুধবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ্যারোপেক প্রশিক্ষণ বিমানে নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও শাহরিনা বিনতে আনোয়ার। ছবি: আইএসপিআর।
২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৬১ তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন। ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের আবশ্যক সব কোর্স সম্পন্ন শেষে তিনি গত বছরের ১৬ নভেম্বর আর্মি অ্যাভিয়েশন বেসিক কোর্স-৯-এ যোগ দেন। তিনি এ বছরের ১৮ জুন উড্ডয়ন দক্ষতা প্রমাণ করতে প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন।
শাহরিনা বিনতে আনোয়ারও ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৬১ তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সে সেনাবাহিনীর অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। অর্ডন্যান্স কোরের আবশ্যক সব কোর্স শেষ করে গত বছরের ১৬ নভেম্বর শাহরিনা আর্মি অ্যাভিয়েশন বেসিক কোর্স-৯-এ যোগ দেন। এ বছরের ৩০ জুন তিনি প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন।
প্রশিক্ষণ বিমানে একক উড্ডয়ন করেছেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন। ছবি: আইএসপিআর।
সেনাবাহিনীর এই দুই পাইলট বাংলাদেশের নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলে তাঁরা মনে করেন। আর্মি অ্যাভিয়েশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালের ০১ জানুয়ারিতে শুরু করে বিপুলসংখ্যক সেনা পাইলটদের প্রশিক্ষিত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থাটি। আগে শুধু পুরুষ পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটিতে নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও শাহরিনা বিনতে আনোয়ারের প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
প্রশিক্ষণ বিমানে একক উড্ডয়ন করেছেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার। ছবি: আইএসপিআর।

No comments

Powered by Blogger.