‘হোটেল নেপাল ফেরত’

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামে গড়া
‘হোটেল নেপাল ফেরত’। l প্রথম আলো
‘হোটেল নেপাল ফেরত’—দূর থেকে একটি টংঘরের সামনে সাইনবোর্ডে এ লেখা পড়লে মনে কৌতূহল জাগে। এটি রেস্তোরাঁ, নাকি আবাসিক হোটেল। কাছে গেলে সংশয় কাটে। নিচে ছোট করে লেখা, ‘এখানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়’।
এটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের একটি হোটেল। গত বৃহস্পতিবার হোটেলটিতে গিয়ে দেখা গেল, মধ্যবয়সী রেজাউল ইসলাম ও ছোট একটি ছেলে শরীফকে। দুজনই কর্মব্যস্ত। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, হোটেলটির মালিক আফসার মোল্লা। পরে মুঠোফোনে আফসার জানালেন নামকরণের কাহিনি।
আফসার মোল্লা জানান, গত বছরের মাঝামাঝি দালালের মাধ্যমে তিনি হিলি সীমান্ত দিয়ে নেপালে গিয়েছিলেন। খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। দালালেরা তাঁকে বলেছিল, মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতনে কাজ দেওয়া হবে। সেখানে তাঁকে এমব্রয়ডারির কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন দেওয়া হয় ১২ হাজার টাকা। কম বেতনে কিছুই হতো না। এভাবে তিন মাস কাজ করেন তিনি। বছরের শেষের দিকে দেশে ফেরেন।
আফসার বলেন, নেপাল থেকে ফিরে কবুরহাটে বাদশার খাবারের হোটেলে কাজ নেন। কয়েক দিন পর বাদশা টংঘরের হোটেলটি বিক্রি করে দেন। তিনি কিনে নেন। যেহেতু নেপাল থেকে ফিরে এসে কাজ করছেন, তাই এর নাম দেন ‘হোটেল নেপাল ফেরত’। কাজ দেন রেজাউল ও শরীফকে। এখানে কবুরহাটের এলাকার চাতালশ্রমিকেরা সকালের নাশতা ও দুপুরে ডাল-ভাত খেতে আসেন।
আফসারের বাড়ি কবুরহাট এলাকাতেই। তাঁর সংসারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে আছে।

No comments

Powered by Blogger.