যে কারণে সন্ত্রাস দমন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে by মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই খুন, গুম, অপহরণ আর সন্ত্রাসের খবর। দেশবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছেন। অথচ সরকারের অন্যতম প্রধান সাংবিধানিক দায়িত্ব হল জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিরাপত্তা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে না পারলে কেউই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো কাজ করতে চান না। ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। কাজেই কোনো দেশের সরকার যদি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করে কেবল স্বপ্নের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রাফ আঁকে, তাহলে সে সরকারকে বোকা বলা যায়। আবার সামাজিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে যদি কোনো সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে পরোক্ষ ছাড় দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের শক্ত হাতে দমন করার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, তাহলে সরকারের ওই কাজকে আহাম্মকি বলতে হবে। কারণ, নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের পরোক্ষ ছাড় দিলে ওইসব সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজরা একপর্যায়ে বেপরোয়া হয়ে ফ্রাংকস্টাইনের মতো একদিকে যেমন নিজ দলকেই আক্রমণ করে শেষ করে দেয়, তেমনি অন্যদিকে পরোক্ষ সরকারি প্রশ্রয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ এত বেশি বিশৃংখল করে ফেলে যে, পরে সরকার শত চেষ্টা করেও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এ অবস্থায় উপায়ান্তর না দেখে অনেক ক্ষেত্রে সরকার অবিবেচকের মতো রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীকে রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনের কাজে ব্যবহার করে। আর এভাবে সরকার একদিকে নিজের জনপ্রিয়তা ভূলুণ্ঠিত করে, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদে জনগণের বিরাগভাজন হয়ে নির্বাচন এলে জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালের ব্যাপক খুন, গুম ও সন্ত্রাস পরিস্থিতির নির্মোহ পর্যালোচনা করলে এসব বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

এ আলোচনায় সরকার কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় এসেছে, সে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাহলে সে সরকারের সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দলীয় সাংগঠনিক তৎপরতা ও শক্তিবৃদ্ধি ঘটিয়ে সরকার দলীয় জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু সরকার যদি রাজনৈতিক দল ও জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া একটি অগ্রহণযোগ্য একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তাহলে ওই সরকারের পক্ষে পূর্ণমেয়াদে ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। আর একতরফা নামকাওয়াস্তের নির্বাচনে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় আসতে সরকার যদি নির্বাচনকালীন প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচনী সন্ত্রাস করতে ছাড় দেয়, তাহলে ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারের পক্ষে ওই প্রশ্রয় পাওয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।
বাংলাদেশে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চরিত্র বিশ্লেষণ করে যে কেউ বুঝতে পারেন যে, ওই নির্বাচনটি একটি স্বাভাবিক, স্বতঃস্ফূর্ত, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছিল না। বিরোধী দলের বর্জন ও প্রতিরোধের হুমকির মুখে ওই নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি আসনে নির্বাচনই হয়নি; বেশির ভাগ ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আর যাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ ছিল, তারাও ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিরাপদ মনে করেননি। ৪১টি ভোট কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি এবং রাজধানীর মতো ব্যস্ত এলাকার অনেক ভোট কেন্দ্রে ভোটারের অনুপস্থিতি এবং কুকুরের শুয়ে থাকার ছবি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অথচ এ নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবহার করে কিছু ভোট কাস্ট করানো সম্ভব হলেও হুকুমবরদার নির্বাচন কমিশন কয়েক দিন হিসাব-নিকাশ করার পর শতকরা ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে বলে ঘোষণা করে। সরকারদলীয় ক্যাডার ও সরকারের প্রশ্রয় পাওয়া সন্ত্রাসীরা এ নির্বাচনে সরকারি দলের জয়লাভের পেছনে ভূমিকা পালন করে।
একই প্রক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার মাত্র মাসাধিককাল পর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে নিজ দলের সমর্থিত প্রার্থীদের জয়যুক্ত করতে আবারও নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে সরকারি দলের প্রশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীদেরও ব্যবহার করা হয়। এসব সন্ত্রাসী ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটের আগের রাতেই নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আয়ত্তে নিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা, ভোট কেন্দ্র দখলে নিয়ে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা, বিরোধী দল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে মারধর করে বের করে দেয়া, প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জীবনের হুমকি দিয়ে কথা শুনতে বাধ্য করাসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসে জড়িত হয়। উল্লেখ্য, এ ধরনের সন্ত্রাসীর উল্লেখযোগ্য শাস্তি হয়নি। দুদুটো বড় নির্বাচনে সরকারের পরোক্ষ প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করে ছাড় পাওয়ায় পরবর্তী সময়ে যে এরা অধিকতর বেপরোয়া হয়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক। এ কারণে এ দুই নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সামাজিক সন্ত্রাস আশংকাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়, যার নমুনা নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীসহ কতিপয় এলাকায় দেখা গেছে।

সরকার যদি দলীয় সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয় এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীকে রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনের কাজে ব্যবহার করে তাহলে তো ওইসব সন্ত্রাসী এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরবর্তীকালে ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজেরা সন্ত্রাসে জড়িত হবেই। র‌্যাব কর্মকর্তা কর্তৃক মাজারের টাকা লুট এবং অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুলসহ সাতজনকে ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানকে একই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রভাব বিস্তারকেন্দ্রিক সংঘর্ষের জেরে ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে ফিল্মি ভঙ্গিমায় গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে পাশবিকভাবে হত্যার ঘটনাকে উপরের বিশ্লেষণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার উপায় নেই।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, অষ্টম সংসদ নির্বাচনের পর সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত বিএনপি সরকারের অপারেশন ক্লিনহার্ট কর্মসূচি মানবাধিকার কর্মীদের সমালোচনার মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমেরিকার এফবিআইয়ের আদলে ২০০৪ সালে বিএনপি সরকার আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাছাইকৃত সদস্যদের নিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) গঠন করে। পুলিশ বাহিনীর ওপর রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাব থাকায় এবং এ বাহিনীর সদস্যরা দুর্নীতি জড়িত হওয়ার কারণে সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্য নিয়ে এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব সৃষ্টি করা হয়। সন্ত্রাস দমনে বিএনপি সরকার প্রথমদিকে র‌্যাবের ওপর কোনো রকম প্রভাব বিস্তার না করে একে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করে। এ কারণে ২০০৪ সালে র‌্যাব কাজ শুরু করলে চট্টগ্রামে সংঘটিত প্রথম ১৬টি ক্রসফায়ারের মধ্যে ১৫ জনই ছিল সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মী এবং মাত্র একজন ছিল বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) নেতা (প্রথম আলো, ৪ ও ২৪ ডিসেম্বর ২০০৪)। এ ঘটনা থেকে অনুধাবন করা যায়, জন্মকালে র‌্যাব পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে সন্ত্রাস দমনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিল। এজন্য ওই সময় এ বাহিনী এর কাজের দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে সন্ত্রাসীদের মধ্যে কাঁপন ধরাতে পেরেছিল। দুর্ধর্ষ জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান এবং সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইসহ অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে র‌্যাব সন্ত্রাস দমনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পেরেছিল।

র‌্যাব কাজ শুরু করার পর রাজনৈতিক নেতৃত্বকে র‌্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে সন্ত্রাস দমনে এলিট ফোর্স হিসেবে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এ লক্ষ্যে ২০০৪ সালে প্রথম আলো পত্রিকা র‌্যাব নিয়ে বিতর্ক শুরু করলে ওই পত্রিকায় ২৪ এপ্রিল সংখ্যায় এ লেখক র‌্যাবকে দয়া করে পুলিশ বানাবেন না শিরোনামে নিবন্ধ লিখেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, র‌্যাব খুব বেশি দিন রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে থেকে কাজ করতে পেরেছে মনে করা যায় না। সম্প্রতি রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনের টুল হিসেবে র‌্যাবকে ব্যবহার করার জোরালো অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ কারণে মানবাধিকার সংগঠন এবং বিরোধী দল থেকে র‌্যাব বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাবও একাধিকবার উত্থাপন করা হয়েছে। মনে রাখা দরকার, র‌্যাব সদস্যরা আসমানের ফেরেশতা নন। তারাও সাধারণ নাগরিকদের মতো রক্ত-মাংসের মানুষ। র‌্যাবকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করলে এ বাহিনীর সদস্যরা যে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য অপকর্ম করবে না, সে নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। র‌্যাবকে পেশাদার বাহিনী হিসেবে কাজ করতে না দেয়ার কারণেই হয়তো কিছু র‌্যাব সদস্য মাজারের টাকা লুট করতে বা কোটি টাকার বিনিময়ে মানুষ অপহরণ বা খুন করার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে এ বাহিনীর সুনাম ভূলুণ্ঠিত করেছে।
র‌্যাব গঠিত হওয়ার পর এ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংস্কার করা হয়নি। আমাদের কাছে মনে হয়, র‌্যাবের একটি বড় ত্র“টি হল এ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ধার করে এনে এমন একটি বাহিনী তৈরি করলে সে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একই রকম চিন্তাভাবনা থাকবে এমনটি আশা করা যায় না। তা ছাড়া সেনাবাহিনী থেকে আসা র‌্যাব সদস্যরা যে মর্যাদা পান, কোস্টগার্ড, আনসার, বিজিবি, পুলিশ বা অন্য বাহিনী থেকে এ বাহিনীতে আসা সদস্যরা একই রকম মর্যাদা পান কি-না তা নিয়ে ভাবার আছে। একটি সমন্বিত এবং একই রকম চিন্তা চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাহিনী হিসেবে র‌্যাবকে গড়ে তুলতে হলে অন্য কোনো বাহিনী থেকে কর্মকর্তা ধার করে একে ককটেল বাহিনী না বানিয়ে এ বাহিনীর জন্য পৃথকভাবে লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাহলে র‌্যাব একটি পেশাদার পৃথক এলিট ফোর্স হিসেবে সন্ত্রাস দমনে কাজ করতে পারবে এবং এর দায়িত্বশীলতাও বাড়বে। তা না হলে এখন যেভাবে র‌্যাব কাজ করছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ বা বিজিবির কেউ র‌্যাবে এসে দুর্নীতি করলে সে দায় র‌্যাবের ওপর পড়ছে, যা পরোক্ষভাবে পড়ছে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর। কারণ, বর্তমানে র‌্যাবে সেনাবাহিনীরই প্রাধান্য রয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক সমাজে আমাদের সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুুণ্ন হচ্ছে। কোনো বাহিনী থেকে লোক ধার না করে পৃথকভাবে লোক নিয়োগ করে র‌্যাবকে একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পর র‌্যাবের কোনো সদস্য দুর্নীতি বা অন্যায় করলে সে দায় তখন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর পড়বে না।

সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সামাজিক অস্থিরতা কমাতে চাইলে সরকারকে আগে নিজের গণসমর্থন ও বৈধতা সুনিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সরকার যদি হয় নড়বড়ে ও প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত, তাহলে তো ওই সরকারের অধীনে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বাড়বেই। সঠিকভাবে গণরায় না নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের পক্ষে সন্ত্রাস দমনে সফল হওয়া সম্ভব নয়। কাজেই দেশে সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে হলে সরকারের উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের প্রকৃত রায় নিয়ে সরকারে এসে তারপর সন্ত্রাস দমন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্মাণে মনোযোগী হওয়া।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.