তীব্র বিদ্যুৎ-সংকটেও তাঁদের ভবনে লোডশেডিং হয় না

পাকিস্তানজুড়ে এখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। কোনো কোনো এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ থেকে ২০ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। ব্যতিক্রম কেবল প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, বিচারক ও সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের বাড়িতে।
তাঁদের বাড়িতে এক মিনিটের জন্যও লোডশেডিং নেই।
ইসলামাবাদ ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (আইইএসসিও) গতকাল সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিষয়টি জানার পর দেশটির জ্বালানিবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রীতিমতো নাখোশ হয়েছে। কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বৈষম্য দূর করতে নির্দেশ দিয়েছে।
তীব্র গরমের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে সারা দেশে লোডশেডিং বেড়েই চলেছে পাকিস্তানে। এ নিয়ে দেশের অনেক স্থানে বিক্ষোভও করছে লোকজন। সংসদীয় কমিটি এর কারণ ব্যাখ্যা করতে আইইএসসিওর প্রধান ইউসুফ আওয়ানকে সমন করে। তিনি গতকাল কারণ ব্যাখ্যা করতে গতকাল সশরীরে কমিটির কার্যালয়ে যান। এ সময় সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদ খান তাঁর কাছে জানতে চান, সরকারি কোন কোন দপ্তরকে লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
জবাবে ইউসুফ জানান, দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, সুপ্রিম কোর্ট, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর (জিএইচকিউ), গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সদর দপ্তর, জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর কার্যালয়, জাতীয় তথ্যভান্ডার ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কার্যালয় এবং বিচারকদের আবাসিক এলাকা লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
বিষয়টি জানার পর সংসদীয় কমিটির প্রধান জাহিদ আইইএসসিওর প্রধান ইউসুফকে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যেখানে সাধারণ মানুষকে দিনে ২১ ঘণ্টার ওপরে লোডশেডিংয়ের অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে, সেখানে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর জেনারেল ও বিচারকদের এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। অথচ তাঁদের সবারই জেনারেটর রাখার সামর্থ্য রয়েছে। তিনি কেবল হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাপনায় থাকা কেন্দ্রগুলোকে লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত রাখা উচিত বলে মত দেন। ডন।

No comments

Powered by Blogger.