চাকরিতে প্রবেশের বয়স by মো. মহিউদ্দিন

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশের হাজার হাজার সমস্যার মধ্যে শিক্ষাঙ্গনে সেশনজট অন্যতম। সেশনজটের কবলে পড়ে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর পাস করতে বয়স ৩০-এর কাছাকাছি চলে যায়। আবার আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে কয়েক বছর বিরতির পর আবার পড়াশোনা শুরু করে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তাই অনেকেরই সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স থাকে না। চাকরিতে প্রতিযোগী বেশি হওয়ার কারণে অনেকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ছোট চাকরি করেন। তাঁদের মনে আশা থাকে, ভবিষ্যতে ভালো কোনো চাকরি পাবেন। কিন্তু সাধারণ কোটার প্রার্থীদের বয়স ৩০ বছর পর্যন্ত হওয়ায় তাঁরা আর ভালো চাকরিতে আবেদন করতে পারেন না। এতে করে দেশে শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী, বেকার ও তাঁদের অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা তরুণ প্রজন্মের একটি অতি জরুরি ও প্রয়োজনীয় দাবি।
আর তাই প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান মহাজোট সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, অবিলম্বে বেকার তরুণ প্রজন্মকে হতাশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বর্তমান সরকারের মেয়াদেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর পর্যন্ত করা হোক।
মো. মহিউদ্দিন
উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.