নিরুত্তাপ হরতাল চলছে

ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বামদলগুলোর ডাকা নিরুত্তাপ হরতাল। নেই কোন ভাঙচুর, পিকেটিং কিংবা অগ্নিসংযোগ। তবে কোথাও কোথাও হরতালের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করা হয়।
হরতাল সমর্থনকারীদের দলীয় ও জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজধানীর পুরানা পল্টন, তোপখানা রোড, দৈনিক বাংলা, প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, পুরান ঢাকা, মিরপুর এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল করতে দেখা যায়। পুলিশের উপস্থিতি তেমন একটা লক্ষ্য করা যায়নি।
বাস চলাচল কম থাকায় অফিসগামী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের গাড়ির অপেক্ষায় থাকতে দেখা যাচ্ছে। রিকশা ও সিএনজিতেই যাত্রীদের চলাচল করতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও গাড়ি চলাচলে বাধা দিয়ে হরতাল সমর্থকদের সহযোগিতা করছে পুলিশ।  ৬টার দিকে পুরানা পল্টন সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং তোপখানা  রোড বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দুটি মিছিল বের হয়। কাছাকাছি সময়ে বাসদের একটি মিছিলওর পল্টন, দৈনিক বাংলা, প্রেস ক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এদিকে প্রগতিশীল ছাত্রজোট কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী গান, সমাবেশ ও খণ্ড মিছিল করছে। পল্টন থেকে  প্রেস ক্লাব হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত পুরো এলাকা রয়েছে সিপিবি ও বাসদ কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। হরতালের সমর্থনে মিছিল হয়েছে পুরান ঢাকা ও মিরপুর এলাকাতেও। হরতালের সকালদিকে সড়কে বাস চলাচল ছিল একেবারেই কম। তবে অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে পল্টন মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিলগুলোকে কোনরকম বাধা  দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করা, গার্মেন্ট শ্রমিক হত্যার বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে এ হরতাল করে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ ও বাম মোর্চার দলগুলো। সিপিবি ও বাসদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করা, তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী মালিক পক্ষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেয়া, গার্মেন্টসহ সব শিল্প-কারখানায় আইন অনুযায়ী কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎ বিল, গাড়ি ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে জ্বালানি  তেলের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করা।

No comments

Powered by Blogger.