শেবাগকে সঙ্গী পেলেন জাভেদ

রাজা কে না হতে চায়! কিন্তু আগামী কিছুদিন বীরেন্দর শেবাগের সামনে ‘রাজা’ কিংবা ‘কিং’ এই দুটো শব্দের কোনোটাই উচ্চারণ করলে পাছে চটে যেতে পারেন এই ভারতীয় ওপেনার। কাঁধের চোট থেকে সেরে উঠে মাত্রই যোগ দিয়েছিলেন দলে। এসেছিলেন রাজা হতে, দলকে উদ্ধার করতে। কিন্তু এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও একেবারে প্রথম বলেই ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে। টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসের বিরল এবং অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের পাতায় উঠে গেল তাঁর নাম। ইতিহাসের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘কিং পেয়ার’ পেলেন!
দুই ইনিংসেই একেবারে প্রথম বলে আউট হওয়ার এই রেকর্ডটি প্রথম করেছিলেন ইংল্যান্ডের উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ১৮৯১-৯২ সিডনি টেস্টে। এই ডানহাতি পেসারের মতো বাকি ১২ জনের বেশির ভাগই বোলার। এত দিন ওপেনার হিসেবে এই রেকর্ড শুধু একজনেরই ছিল—বাংলাদেশের জাভেদ ওমরের। ভারতের বিপক্ষেই ২০০৭ মিরপুর টেস্টে কিং পেয়ারের শিকার হয়েছিলেন জাভেদ। ওই টেস্টেই সময়ের হিসাবে দ্রুততম ফিফটি (২৭ মিনিট) করে জাভেদের ‘কীর্তি’টাকে আড়াল করে দেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে এত দিন পরে এসে খ্যাতিমান এক সঙ্গী পেলেন জাভেদ—বীরেন্দর শেবাগ, যিনি পাঠকের ভোটে ওপেনার হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন আইসিসির সর্বকালের সেরা টেস্ট দলে।
দ্বিতীয় ওপেনার আর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে এই অপমানের তিলক পড়ল শেবাগের কপালে। এর আগে ভগবত চন্দ্রশেখর আর অজিত আগারকার কিং পেয়ার পেয়েছিলেন, দুজনই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসেই প্রথম বলে করেছিলেন শূন্য। চন্দ্রশেখর ১৯৭৭-৭৮, আগারকার ১৯৯৯-২০০০ সালে। ভারতের বিপক্ষেও তিনজন কিং পেয়ার পেয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি কিং পেয়ারের শিকার দক্ষিণ আফ্রিকার চার ব্যাটসম্যান।
এঁদের মধ্যে টমি ওয়ার্ড তাঁর অভিষেক টেস্টেই কিং পেয়ার পান। ১৯১২ সালে ত্রিদেশীয় টেস্ট সিরিজের ঘটনা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ওয়ার্ডকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন জিমি ম্যাথুস। দুই ইনিংসেই হ্যাটট্রিকের একমাত্র উদাহরণ, ওয়ার্ডের পেয়ারটা তাই স্মরণীয় হয়ে আছে এদিক দিয়েও।

No comments

Powered by Blogger.