বাইব্যাকের পর দুই বছর মূলধন বৃদ্ধির ওপর বিধি-নিষেধ

কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাইব্যাক করার পর ওই প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করার বিধান রাখা হচ্ছে প্রস্তাবিত বাইব্যাক আইনে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিজেদের অতিরিক্ত মূলধন অথবা সিকিউরিটির প্রিমিয়াম হিসাব ব্যবহারের মাধ্যমে শেয়ার বাইব্যাক করার প্রস্তাব রাখার সুপারিশ করা হবে। এ ছাড়া বাইব্যাক সম্পন্ন করার পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে কোম্পানির ক্রয় করা সিকিউরিটিজ বাতিল এবং ধ্বংসের বিধান রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আয়োজিত পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে এসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি শাকিল রিজভী, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রেসিডেন্ট ফকর উদ্দিন আলী আহমেদ ও বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসইসি সূত্রে যায়, প্রস্তাবিত আইনে বাইব্যাক সম্পন্ন করার পরবর্তী দুই বছর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। বাইব্যাক আইন লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে আর্থিক দণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ওই কোম্পানিকে সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বাইব্যাক সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী ২৪ মাসের মধ্যে বোনাস শেয়ার ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের লভ্যাংশ ইস্যু করতে পারবে না।
এই সুপারিশ শিগগিরই এসইসি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে কোম্পানি আইন সংশোধনের মাধ্যমে বাইব্যাক প্রথা চালু করার জন্য একটি বিল সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কোম্পানি মূলধন কমাতে চাইলে সে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই আইন করা প্রয়োজন। তবে কোম্পানির অতিরিক্ত মূলধন না থাকলে সে কোম্পানিকে বাইব্যাকের সুযোগ দেওয়া উচিত নয় বলে জানান তিনি। এ ছাড়া বাইব্যাকের পর কোম্পানির বোনাস ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীরা নগদ লভ্যাংশ চায় না। এ জন্য আমরা বাইব্যাকের পর কোম্পানি যাতে বোনাস ইস্যু করতে পারে সে জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.