আন্তর্জাতিক উদ্ধার তৎপরতা জোরদার

জাপানের ভূমিকম্প ও সুনামি-বিধ্বস্ত শহরগুলোতে উদ্ধার-তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার শহরগুলোতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীরা।
সংহতির নিদর্শন হিসেবে ইতিমধ্যে প্রায় ৭০টি দেশ জাপানকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। শুধু মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র নয়, চীন থেকেও সহায়তা এসেছে। সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তান থেকেও।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনি বলেন, যে সহায়তার প্রয়োজন হোক না কেন, তাঁরা জাপানকে সেই সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানান, সুনামিতে বিধ্বস্ত বাড়িঘরে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে দুটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার দল গতকাল সোমবার ভোরের আলো ফোটার পর থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছে। ওই দল দুটিতে রয়েছেন ১৪৪ জন উদ্ধারকর্মী। দল দুটিতে ১২টি কুকুরও রয়েছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ১৫ সদস্যের চীনা উদ্ধার দল কাজ শুরু করেছে। গত রোববার বিশেষ বিমানে করে তাঁরা টোকিও গিয়ে পৌঁছান।
দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, বিমানবাহিনীর তিনটি সি-১৩০ হেলিকপ্টারযোগে ১০২ সদস্যের একটি উদ্ধার দল জাপানের উদ্দেশে কোরিয়া ত্যাগ করেছে। দেশটির একটি অগ্রগামী দল গত শনিবার থেকে জাপানে অবস্থান করছে। ওই দলে রয়েছেন পাঁচজন উদ্ধারকর্মী। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে দুটি তল্লাশি কুকুর।
ইন্দোনেশিয়া বলেছে, তারা জাপানে সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুসুমা হাবির বলেন, ‘আমরা সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। এই মুহূর্তে জাপানের কী দরকার এবং তা কীভাবে পাঠানো যায়, সে সম্পর্কে আলোচনা করছি।’
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, জাপানের ‘ভাই ও বোনদের’ জন্য ৫০ হাজার ডলার সহায়তা দেওয়া হবে।
ব্রিটেন ফায়ার ব্রিগেডের তল্লাশি ও উদ্ধার বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়েছে। ভারী বস্তু উত্তোলন ও কাটার যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি পাঠিয়েছে দেশটি। ব্রিটেন বলেছে, অনুরোধ করা হলে তারা জাপানে পরমাণু পদার্থবিজ্ঞানী পাঠাবে।
রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য গত রোববার সুনামি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৭৫ জন উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।
ডক্টর উইদাউট বর্ডাসের কয়েকটি দল ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। সংস্থাটি বলেছে, চিকিৎসা-ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তাদের কাছে মনে হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সামান্য। সেখানে পানির সরবরাহ নেই। লোকজনের খাবার, কম্বল ও পানির দরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ২০ লাখ বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ নেই।

No comments

Powered by Blogger.