কলিংউডের শেষ টেস্ট সিডনিতেই?

৬ বছর আগের ব্রায়ান লারাকে মনে করিয়ে দিলেন পল কলিংউড। ২০০৪ সালে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার পর লারা বলেছিলেন, ‘পরের টেস্ট জিততে না পারলে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেব।’ গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কলিংউডের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণ নেই। তবে কলিংউড চ্যালেঞ্জ কলেছেন টেস্ট ব্যাটসম্যান কলিংউডকে। বোর্ড বা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি। তবে রান-খরায় ভুগতে থাকা ব্যাটসম্যান নিজেই নিজেকে দিয়েছেন আল্টিমেটাম, ‘সিডনিতে রান করতে না পারলে বিদায় বলে দেব টেস্ট ক্রিকেটকে।’৫৭৭, ৪৪৫, ৩২৪, ২৪৭, ২১৪—চলতি অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনেরই রানই যখন এমন হূষ্টপুষ্ট, কলিংউডের রান সেখানে ১৪ গড়ে ৭০। সর্বোচ্চ ৪২। বাইরে বসে আছেন এউইন মরগানের মতো ব্যাটসম্যান। টানা ব্যর্থতায় নিজের ওপরই চরম বিরক্ত ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘চলতি সিরিজে আমার ফর্ম এবং মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের ব্যর্থতার পর আগে হোক বা পরে, আমার টেস্ট ভবিষ্যতের প্রসঙ্গটা উঠতই। কোনো সন্দেহ নেই, নিজের ব্যাটিং নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’ক্যারিয়ারজুড়ে যাঁর পরিচিতি ‘লড়াকু’ হিসেবে, তিনি বরাবরের মতোই লড়ার আগে হাল ছাড়তে রাজি নন। তবে ৩৫ ছুঁইছুই বয়সে এসে বুঝতে পারছেন বাস্তবতাও, ‘লড়াই করার ইচ্ছা এখনো আমার মধ্যে ভালোই আছে। এখনো আমি যেকোনো সময়ের মতোই ফিট, টেস্ট ক্রিকেটটা দারুণ উপভোগও করছি। সিডনি টেস্টটা আমার জন্য বড় একটা পরীক্ষা, এখানে আমি সেঞ্চুরি করতে চাই। কিন্তু সব বাস্তবতাই আমি বুঝি, জানি অনেকেই আমার জায়গা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমার বয়সে এসে রান করতে না পারলে দলে জায়গাটা প্রাপ্য নয়।’লারা পেরেছিলেন, কলিংউড কি পারবেন?

No comments

Powered by Blogger.