আইভরি কোস্টে বাগবোকে হটাতে ধর্মঘট

আইভরি কোস্টে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবোর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আলাসেন ওয়েতাহার সমর্থকেরা। গত ২৮ নভেম্বরের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাগবোর প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েতাহাকে জয়ী বলে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
যুক্তরাষ্ট্র আবারও বাগবোকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। বাগবো বলেছেন, কোনো হুমকি-ধমকি তাঁকে বিচলিত করতে পারবে না। সাংবিধানিক ক্ষমতাবলেই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল থাকবেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় ওয়েতাহার মুখপাত্র প্যাট্রিক আচিহ বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) থেকে আমরা দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’ এ ঘোষণার পর ওয়েতাহা-সমর্থিত জোট আরএইচডিপি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের বিজয় কেড়ে নিতে দেব না।’
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস এর মধ্যে বাগবোকে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে সরানোর কথা ঘোষণা করে। এই ধর্মঘট বাগবোকে সরে যেতে আরও চাপ বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষমতা ছাড়তে বাগবোকে রাজি করানোর চূড়ান্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে আজ মঙ্গলবার ইকোওয়াসের একটি প্রতিনিধি দল আইভরি কোস্ট যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপ-উপদেষ্টা বেন রোডস বলেন, ইকোওয়াসের চেষ্টার প্রতি তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ওয়েতাহাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁরা। তিনি বাগবোকে সসম্মানে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বর্তমানে হাওয়াই দ্বীপে অবকাশ যাপন করছেন।
লঅন্ত বাগবোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইমেলি গিরিওলৌ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁরা ওই তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের ‘ভাই’ এবং ‘বন্ধু’ হিসেবে স্বাগত জানাবেন এবং তাঁদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে শুনবেন। তিনি বলেছেন, আইভরি কোস্টের সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষ হত্যা করছে এবং বিভিন্ন স্থানে গণকবর রয়েছে বলে জাতিসংঘ যে অভিযোগ করেছে তা অসত্য। তাঁর দাবি, তাঁদের দেশের কোথাও কোনো গণকবর নেই।
গিরিওলৌ অভিযোগ করেন, জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিরোধীদের মদদ জোগাচ্ছে।
বাগবো বলেন, দেশে যদি নৈরাজ্য বা গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি হয় তাহলে পরিস্থিতি ভয়ানক রূপ নেবে। এ কারণে সেদিকে যাওয়ার চিন্তা থেকে সবার সরে আসা উচিত।
জাতিসংঘ গত বৃহস্পতিবার বলেছে, গত কয়েক দিনে আইভরি কোস্টে সেনাবাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১৭০ জন লোক নিহত হয়েছে। লাইবেরিয়ায় পালিয়ে গেছে ১৪ হাজার লোক।

No comments

Powered by Blogger.