খবর- পুলিশি হরতাল __সুত্র কালের কণ্ঠ

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ডাকা হরতালে দলীয় নেতা-কর্মীরা মাঠেই নামতে পারেননি। পুলিশ তাঁদের একরকম অবরোধই করে রেখেছিল। হরতালবিরোধী মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল-পিকেটিং করতে গিয়ে আটক হয়েছেন বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী। রাজধানীতে হরতাল সমর্থকরা দুটি বাস পুড়িয়েছে। ভাঙচুর করেছে তিনটি মিনিবাস ও একটি ট্যাঙ্কি্যাব।
বিচ্ছিন্নভাবে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে বেশ কিছু। অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে দুটি। ঢাকায় বেশ কিছু বাস-মিনিবাস চলেছে, তবে যাত্রী ছিল কম। ঢাকার বাইরে বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, জামালপুর, নরসিংদী, নওগাঁ, মাদারীপুর, কুমিল্লা ও ঠাকুরগাঁওয়ে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও হরতালবিরোধীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
সরকারি জুলুম-নির্যাতন, হয়রানি, মামলা, হামলা, অপহরণ, গুম, খুন, নিয়োগ-বাণিজ্য, আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট, দেশবিরোধী চুক্তি, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন দলীয়করণ, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে জোর করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে গত ২২ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা থেকে এ হরতাল ডাকা হয়েছিল।
হরতালের আগের দিন রাতে বেশ কিছু বাস-মিনিবাস পোড়ানো এবং ভাঙচুরের পর পুলিশ বিএনপি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের কার্যালয়ের সামনেও মিছিল-পিকেটিং করতে দেয়নি, বরং নয়াপল্টনের রাস্তা দিয়ে অবাধে রিকশা চলেছে। মাঝেমধ্যে সারিবদ্ধভাবে অনেক বাস-মিনিবাস চলাচল করেছে। নেতা-কর্মীদের কেউ রাস্তায় নামলেই তাঁকে আটক করা হয়েছে। মতিঝিলে জামায়াতের একটি ছোট্ট মিছিল বের হলেও অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনেই তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিল-পিকেটিংয়ের চেষ্টা করায় পুলিশ ঢাকায় ১৫ নারীসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে। বিকেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। রেল ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে দিনের বেলায় লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে যাত্রীর অভাবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দৃশ্য
দিনভর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরোধ করে রাখে র‌্যাব ও পুলিশ। সামনের রাস্তায় দুই শতাধিক র‌্যাব-পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দিনভর অবস্থান করে। র‌্যাব ও পুলিশের দুটি দল দলীয় কার্যালয়ের দুই পাশের রাস্তা থেকে সন্দেহভাজনদেরও আটক করে। পুলিশের মারমুখী আচরণে সারা দিন একবারই মিছিল বের করতে সক্ষম হন নেতা-কর্মীরা। বাকি সময় দলের মহাসচিবসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ে বন্দি থাকেন। দিনের বিভিন্ন সময় নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাঁদের আটক করে পুলিশ। আটক করার সময় কয়েকজন মহিলা কর্মী পুলিশের হাতে নাজেহাল হন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই বিএনপি অফিস ছিল অবরুদ্ধ। অফিসের ভেতরেই রাত কাটানো নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একটি মিছিল বের করেন। যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে মিছিলটি কাকরাইল মোড় হয়ে ফের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতেই পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক মহিলা এমপি বিলকিস জাহান শিরিন, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেত্রী সুলতানা জাহান নিশিতাসহ ১৮ জনকে পুলিশ আটক করে। লাঠিপেটায় আহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের আমিনুল ইসলাম, আবদুর রহমান আল গনি, তারিকুল আলম তেনজিংসহ কয়েকজন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, শিয়ালের মুরগি ধরার মতোই পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধরে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের স্বৈরাচারী চেহারা ফুটে উঠেছে।
সকালে কাকরাইল ও শান্তিনগর এলাকায় তিনটি মিনিবাস ও একটি ট্যাঙ্কি্যাব ভাঙচুর করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সকাল ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন তাঁর বড় ছেলে ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুকে নিয়ে। সকাল ৯টার দিকে কার্যালয়ের সামনে থাকা দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ জোর করে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীরা অফিসের ভেতরে সারা দিন অবস্থান করেন। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, মজিবর রহমান সরোয়ার, ইলিয়াস আলী, জাহেদ আলী চৌধুরী, আবদুস সালাম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আক্তারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্যরাও ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় শাম্মী আক্তার ও রেহানা আক্তার রানু দলীয় অফিসে ঢুকতে চাইলে তাঁদের আটক করার চেষ্টা করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে মহিলা সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি ও সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খানকে ধরে পল্টন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ১টার দিকে মহিলা সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার ও মহিলা দল নেত্রী শিরিন সুলতানা দলীয় কার্যালয়ের তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনারা কি শেখ হাসিনার চামচা, এই দিন দিন না, আরো দিন আছে, সে সময় সব কয়টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, আরিফা জেসমিন নাহিন, জাতীয়তাবাদী যুব আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ড. গোলাম রব্বানীসহ বেশ কয়েকজন মহিলা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে তাঁদের আটক করে পুলিশ। তাঁরা বিকেলে ছাড়া পান। মহিলা দলের নেত্রী শিরিনা আক্তার রীনাকে প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক আটক হেলেন জেরিন খান, ফেরদৌস আরা ওয়াহিদ ও বর্তমান সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরীকে ছাড়িয়ে আনেন।
হরতাল শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে একটি হোটেলের সামনে পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে কার্যালয়ের ভেতরে আটক নেতা-কর্মীদের বের করে দিতে গেটে দাঁড়ান দলের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম। এরপর নেতা-কর্মীরা বের হয়ে যান। সোয়া ৬টায় দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার তাঁর ছেলে ডাবলুকে নিয়ে একটি গাড়িতে চড়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন। এ সময় সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও কার্যালয় ত্যাগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিত্র
ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তাদের দেখা যায়নি। ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে ভাঙচুর এবং অগি্নসংযোগের খবর দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তারা। তবে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে, বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিয়েছে। এলাকায় সকাল থেকেই ঢিলেঢালাভাবে যানবাহন চলাচল করছিল। হরতালের আগের দিন ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাসির ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ-পিকেটিংয়ের ঘোষণা দেন।
তবে রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ১০-১২ জনের একটি দল একটি বাসে ঢিল ছুড়ে পালিয়ে যায়। সেখানে শহীদুল ইসলাম নামের এক ছাত্রদলকর্মীকে ছাত্রলীগকর্মীরা ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। হরতাল পালনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহবাগ এলাকা থেকে নিজাম উদ্দিন ও মাহমদুল হাসান নামের আরো দুজনকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশ।
ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সাংবাদিকদের বলেন, 'হরতালে নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে হতে দেওয়া হয়নি। তবুও তাঁরা চেষ্টা করেছেন রাস্তায় নামতে।'
মিরপুরের চিত্র
পুলিশের পাশাপাশি সকাল থেকেই মাঠ দখলে নেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। মোটরসাইকেল নিয়ে মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল এলাকায় মহড়া দিতে থাকেন তাঁরা। এলাকায় যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দুপুরে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়। হরতাল সর্মথকদের অনেকেই ছিল ছদ্মবেশে আশপাশের গলিতে। পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজনের ভয়ে তারা প্রকাশ্যে আসতে পারেনি। এ এলাকায় পুলিশের চেয়ে র‌্যাবের টহল বেশি দেখা গেছে। তবে এলাকার অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। পেট্রল পাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো ছিল খোলা। সেখানে পাহারায় ছিল পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজন।
হরতাল চলাকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যায়নি। অনেক যাত্রীকে দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হেঁটে টার্মিনালে যেতে দেখা গেছে।
পুরান ঢাকার চিত্র
পুরান ঢাকার নয়াবাজার ও বংশাল এলাকায় চারটি বোমার বিস্ফোরণ ও একটি গাড়ি পোড়ানো ছাড়া তেমন কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। সিএমএম আদালত ও ডিসি অফিসসংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। হরতাৃলর সমর্থনে মিছিলে যাওয়া ও অগি্নসংযোগে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন আইনজীবীসহ ২০ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ইউনাইটেড পরিবহনের মিরপুর-সদরঘাট রুটের একটি বাসে কয়েক যুবক আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। দমকলকর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসচালক বেলালকে আটক করে। সূত্রাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আগুন লাগানোর ঘটনায় বেলাল জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মহানগর পুলিশের ওয়ারি অঞ্চলের উপকমিশনার মোজাম্মেল হক কালের কণ্ঠকে জানান, গাড়িতে অগি্নসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সকাল ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জনসন রোডে মিছিল বের করে। পুলিশ লাঠিপেটা ও জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ তাদের পিছু নিয়ে সিএমএম আদালতের পুরনো ভবন থেকে দুজন আইনজীবী নেতাকে আটক করে। দুই আইনজীবী নেতার আটকের প্রতিবাদে বেলা ২টার দিকে সমিতি অফিসের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সানাউল্লাহ মিয়া, গৌতম চক্রবর্তী, খোরশেদ আলম ও মোসলেহ উদ্দিনসহ আরো অনেকে এতে বক্তব্য দেন।
ঢাকার সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, লালবাগ, কাপ্তানবাজার ও বংশাল এলাকায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বংশালের রাজ্জাক রেস্টুরেন্টের পাশে এবং সাড়ে ৩টার দিকে ডিসি অফিসের উল্টো দিকের রাস্তায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা। সেখানে অনেক দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের একটি হরতালবিরোধী মিছিল এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
উত্তরায় বাসে আগুন
সকাল পৌনে ৮টার দিকে উত্তরার নর্থ টাওয়ারের সামনে বিআরটিসির একটি বাসে পিকেটাররা আগুন লাগিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে।
সুপ্রিম কোর্ট বসেনি
হরতালের কারণে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বসেনি। প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ বিচারপতি ও আদালত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এলেও বিচারকাজ পরিচালিত হয়নি। তবে দাপ্তরিক কাজ চলেছে। হরতালের সমর্থনে বিএনপি আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকট খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ মোরশেদ আল মামুন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও কামরুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে বিএনপি-সমর্থক ২৫-৩০ জন আইনজীবী মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক নম্বর গেটের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বাধা পেয়ে তাঁরা মিছিল নিয়ে আবার সমিতি ভবনের সামনে চলে আসেন।
জামায়াত গা দেখাল
বিএনপির ডাকা গতকালের হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে প্রথম গা দেখাল শরিক জামায়াতে ইসলামী। রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, যাত্রাবাড়ী, মালিবাগ ও মিরপুর এলাকা থেকে তারা ঝটিকা মিছিল বের করে। তবে পুলিশ আসার আগেই গা ঢাকা দেয় তারা।
সকাল সাড়ে ১০টায় কারওয়ান বাজারে মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ডা. রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদীর নেতৃত্বে মিছিলের জন্য নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ হাফেজ একরাম হোসেন ও সরওয়ার হোসেনসহ তিনজনকে আটক করে। মতিঝিলে জামায়াত একটি ঝটিকা মিছিল বের করার পর পেছন থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনে ভয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
হরতালে চারদলের বাকি শরিকদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।
=============================
যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'উপদেশের খেসারত'  গল্প- 'স্বপ্নভঙ্গের ইতিবৃত্ত'  স্মরণ- 'জগদীশচন্দ্র বসুর কথা বলি'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রধানমন্ত্রী কি হরতাল চান?  ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা রাজনীতির নতুমাত্রা  খবর, বিএনপি কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ  গল্প- 'আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসারে'  গল্প- 'মহামানুষের গল্প' by রাসেল আহমেদ  গল্পালোচনা- 'যেভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়!' by আলী হবিব  জলবায়ু সম্মেলনঃ আমি কেন কানকুনে যাচ্ছি? by মেরি রবিনস  ভ্রমণ- 'মেঘনায় যায় মেঘনা রানী' by সালেক খোকন  ভ্রমণ- 'গন্তব্য নাফাখুম' by জাকারিয়া সবুজ  আলোচনা- 'এখনো একটি গ্রেট গেইম অস্বস্তিকরভাবে প্রাসঙ্গিক' by এম আবদুল আজিজ  গল্পসল্প- জীবন ঢেকে যাচ্ছে বালুতে  প্রকৃতি- কোপেনহেগেন থেকে কানকুনঃ সময় এসেছে মুহূর্তটিকে কাজে লাগানোর by জেমস এফ মরিয়ার্টি  আলোচনা- দরিদ্র মানুষের পাঁজরের ওপর দুর্দান্ত পাজেরো  বিএনপির মিছিলে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের পিটুনি  খবর কালের কন্ঠের- হরতালের ধরপাকড় চলছেই  খবর- খুনের মামলা প্রত্যাহার, শীর্ষ সন্ত্রাসীর অব্যাহতি by নজরুল ইসলাম  প্রকৃতি- চট্টগ্রামে ঐতিহ্যের পাহাড় কেটে বহুতল ভবনঃ সুরক্ষার পরিকল্পনা ধ্বংসের অনুমোদন


দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে

এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.