সৌদি আরবের কাছে ছয় হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে ছয় হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী প্রযুক্তি। অস্ত্র বিক্রির এ চুক্তি চূড়ান্ত হলে মার্কিন ইতিহাসে এটাই হবে অস্ত্র বিক্রির সবচেয়ে বড় ঘটনা।
ইরানের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় এসব বিক্রি করা হচ্ছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পেন্টাগন এ সপ্তাহেই অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। কংগ্রেস অনুমোদন করলেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে। এই বিশাল অঙ্কের চুক্তি কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ মার্কিন অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরবের কাছে যেসব অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ৮৪টি নতুন এফ-১৫ জঙ্গি বিমান, ৭০টি এপাচি, ৭২টি ব্লাকহক ও ৩৬টি লিটলবার্ড হেলিকপ্টার। এ ছাড়া রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, লেজার-নিয়ন্ত্রিত জেডিএএম বোমা এবং আরও কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রও রয়েছে। এ ছাড়া ৭০টি পুরোনো জঙ্গি বিমানের সংস্কার ও আধুনিকীকরণও থাকছে এর মধ্যে।
সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে ইসরায়েল বরাবর আপত্তি করলেও এবার তা করেনি। ইসরায়েল-সমর্থিত কংগ্রেস সদস্যরাও বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করছেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চম প্রজন্ম তথা সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটিকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত সোমবার সাংবাদিকদের জানান, সৌদি আরব প্রতিবেশী ইরানের অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নয়নে রীতিমতো শঙ্কিত। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এসব অস্ত্র কেনার ব্যাপারে একটি চুক্তি করতে সম্মত হয়েছে দেশটি।

No comments

Powered by Blogger.