মিয়ানমারে নির্বাচন ৭ নভেম্বর

অবশেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ নভেম্বর। দেশটির নির্বাচন কমিশন গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে। মিয়ানমারে দুই দশকের মধ্যে এটিই হবে প্রথম নির্বাচন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, সামরিক শাসন আরও পাকাপোক্ত করতেই এই নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘বহুদলীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।’ রাষ্ট্রীয় বেতার ও টেলিভিশনে এই ঘোষণা প্রচার করা হয়। ঘোষণায় জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলো ১৬ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করতে পারবে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং সব দল বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে এনএলডি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিযোগ সু চিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখতে এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে জান্তা সরকার বিভিন্ন অযৌক্তিক আইন জারি করেছে।
সু চির নির্বাচন রুখতে সরকার নির্বাচনের তারিখও সেভাবে ঠিক করেছে বলে মনে হচ্ছে। কেননা, সু চির সর্বশেষ গৃহবন্দীর মেয়াদ শেষ হবে ১৩ নভেম্বর। আইন অনুযায়ী বন্দী থাকাবস্থায় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এ জন্য ১৩ নভেম্বরের আগে নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জেতে এনএলডি। কিন্তু তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি সামরিক জান্তা।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উত্তরণের লক্ষ্যে জান্তা ঘোষিত রোড ম্যাপের চূড়ান্ত পর্যায় এই নির্বাচন। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করছে সরকার। এসব আইনের সমালোচনা করেছে সু চি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আইনি বাধার কারণে সু চিসহ প্রায় দুই হাজার রাজবন্দী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সভা-সমাবেশ ও শোভযাত্রার ওপর কঠোর সব বিধিনিধেষ আরোপ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.