কাশ্মীরের অধিকাংশ এলাকা থেকে কারফিউ প্রত্যাহার

ভারত শাসিত কাশ্মীরের অধিকাংশ এলাকা থেকে গতকাল রোববার কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাজ্যে বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় ছয় দিন আগে এ কারফিউ জারি করা হয়েছিল। কারফিউ তুলে নেওয়া হলেও বেসামরিক লোকজন হত্যার প্রতিবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে গতকাল রাজ্যের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
মুসলিম-অধ্যুষিত এ রাজ্যে গত মাসে নিরাপত্তা বাহিনী ১৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই কিশোর। এর প্রতিবাদে রাজ্যে বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিক্ষোভ সামাল দিতে গত সপ্তাহে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের কিছু এলাকা ছাড়া গোটা কাশ্মীর থেকেই কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা মুজাফফর আহমেদ জানান, কাশ্মীর উপত্যকা বর্তমানে শান্ত। দু-একটি ইটপাটকেল নিক্ষেপের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া গোটা রাজ্যের অবস্থাই এখন মোটামুটি ভালো।
গত মঙ্গলবার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার পর শ্রীনগরে কারফিউ জারি করা হয়।
বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে কাশ্মীরের চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো গতকাল সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজ্যের অধিকাংশ দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এ সময় শ্রীনগরের বিভিন্ন রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্যকে টহল দিতে দেখা যায়।
টানা দুই বছর স্থগিত থাকার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আগামী সপ্তাহে শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক এই বিক্ষোভ শান্তি আলোচনায় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দুই দফা যুদ্ধ হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.