ক্ষমা চেয়েছেন ব্রডও

গ্রায়েম সোয়ানের পথে হাঁটলেন স্টুয়ার্ট ব্রডও, ক্ষমা চাইলেন কৃতকর্মের জন্য। জুনায়েদ সিদ্দিককে আউট করে সোয়ানের আলোচিত ‘বিদায় সম্ভাষণের’ আড়ালে চাপা পড়ে গেছে, নইলে চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ করেছিলেন ব্রডও। সেটিও প্রতিপক্ষ কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে নয়, আম্পায়ারের সঙ্গে!
ঘটনা ম্যাচের ১১৫তম ওভারের। ব্রডের একটি স্টাম্প সোজা ফুল লেন্থ বল সরাসরি লাগে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান আবদুর রাজ্জাকের প্যাডে, এক ঝলক দেখেই বোঝা গিয়েছিল পরিষ্কার আউট। কিন্তু আউট বোঝা গেলেও তো আবেদন করতে হবে আর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে! ব্রডের সে তর সয়নি, পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যাপন শুরু করেছেন, আবেদন করা তো দূরের কথা আম্পায়ার রড টাকারের দিকে ফিরে তাকাননি পর্যন্ত। নিজের ভুলটা বুঝতে পেরে পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন টাকারের কাছেই, ‘পুরো সকালটাই ছিল আমাদের জন্য হতাশাজনক। ব্যাটসম্যানের পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম সে আউট। এমনিতে আম্পায়ারদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনোই খারাপ কিছু ছিল না, রডকেও বলেছি, আমার ব্যবহারের জন্য দুঃখিত। তিনি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন, আমি ভুল করেছি এবং ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু উনি ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নেননি। দিনটা যে আমাদের জন্য কঠিন ছিল, এটা তিনি বুঝতে পেরেছেন।’
নিজের ভুল স্বীকার করেছেন, তবে আম্পায়ারদেরও যে কখনো কখানো কিছু ভূমিকা রাখা উচিত, মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও, ‘ক্রিকেটারদের অনেক হতাশার মুহূর্ত আসে, কখনো কখনো কেউ কেউ সীমা লঙ্ঘনও করে ফেলে, এ সময় আম্পায়ারদের উচিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে মাথা ঠান্ডা রাখতে বলা।’ তবে আম্পায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কারণে নিজের আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে কোনো আপস করতে রাজি নন ব্রড, ‘মাঠে আপনার উপস্থিতি বোঝানোটাও সমান জরুরি। আমরা সবাই দেশের হয়ে খেলছি, কাজেই সেই আবেগ এবং গর্ব কাজ করবেই।’

No comments

Powered by Blogger.