যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সংকটপূর্ণ দেশ পাকিস্তান: অ্যাডমিরাল মুলেন

মার্কিন চেয়ারম্যান অব দ্য চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘ক্রিটিক্যাল’ (সংকটপূর্ণ) দেশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর তাই ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি স্থাপন করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে একটি অনুষ্ঠানে অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। মাইক মুলেন জানান, ১৯৯০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ১২ বছর ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের দূরত্ব ওই বিশ্বাস ঘাটতির জন্য দায়ী। এখন তাঁরা তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার কথা উল্লেখ করে মার্কিন সেনা কর্মকর্তা জানান, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কারণে সাম্প্রতিক সময়ে নিজ দেশের জনগণের মধ্যে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এক বছর আগে দেশটির সেনাবাহিনীর জনপ্রিয়তা ছিল মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ, এখন বেড়ে ৮০ শতাংশের কাছাকাছি অবস্থান করছে। তিনি আরও জানান, সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে তিনি প্রায়ই পাকিস্তান সফর করছেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ও প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত এক বছরে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানে গেছেন এই মার্কিন অ্যাডমিরাল।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিকে নাটকীয় পরিবর্তন হিসেবে উল্লেখ করে অ্যাডমিরাল মুলেন বলেন, এতে সামরিক বাহিনীর পক্ষে লড়াই চালানো সহজতর হবে এবং জনগণের কাছেও তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তবে সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের গুরুত্বও উল্লেখ করেন তিনি। মুলেন আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য তাত্পর্যপূর্ণ এবং ভারত হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মাইক মুলেন বলেন, ‘তারা একটি সার্বভৌম দেশ। সেখানে আল-কায়েদার নেতা অবস্থান করছেন। তাই আমি মনে করি, আফগান-মার্কিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়া দরকার। এই সম্পর্কোন্নয়ন শুধু সামরিক বাহিনীর মধ্যে হলেই চলবে না, এর পরিধি আরও বাড়াতে হবে।’ খবর পিটিআইয়ের।

No comments

Powered by Blogger.