সিআইএ’র প্রথম নারী প্রধান গিনা হ্যাসপেল

প্রথম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সীর (সিআইএ) প্রধান হচ্ছেন নৃশংসতার জন্য বিখ্যাত গিনা হ্যাসপেল। বৃহস্পতিবার তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে মার্কিন সিনেট। এদিন ১০০ সদস্য বিশিষ্ট সিনেটে ৫৪-৪৫ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন লাভ করেন তিনি। সিনেটের সমর্থন লাভ করায় সিআইএ প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে তার সামনে আর কোন বাঁধা থাকলো না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, গিনা হ্যাসপেলের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রমের সময় নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বন্দীদের ওপর নির্যাতনের নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করেন তিনি। নিষ্ঠুরতার জন্য বিখ্যাত এই গিনা হ্যাসপেলই এবার সিআইএ’র পরবর্তী প্রধানের দায়িত্ব পাচ্ছেন। মাইক পম্পেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনিই সিআইএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তার দায়িত্ব স্থায়ী করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটে সিআইএ প্রধান হিসেবে হ্যাসপেলের নিয়োগের বিষয়ে চুড়ান্ত ভোটাভোটি হয়। এতে ৫৪ জন সদস্য হ্যাসপেলকে সিআইএ প্রধানের দায়িত্ব দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন ছয় জন ডেমোক্রেট সিনেটর। আর প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে ভূল আখ্যা দিয়ে না ভোট দিয়েছেন দু’জন রিপাবলিকান সিনেটর। চিকিৎসাধীন থাকায় ভোট দিতে পারেননি ক্যান্সারে আক্রান্ত রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন। তবে হ্যাসপেলকে সমর্থন না দেয়ার জন্য তিনি সিনেটের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই হ্যাসপেল ‘আন্ডারকভার অফিসার’ হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০২ সালে তার ওপর থাইল্যান্ডে অবস্থিত সিআইএ’র একটি গোপন কারাগার দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেখানকার বন্দীরা হ্যাসপেলের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। তাদের ওপর নৃশংস ‘ওয়াটারবোর্ডিং’ পদ্ধতিতে নির্যাতন চালান হ্যাসপেল।

No comments

Powered by Blogger.