মাদকের মায়াবী ছোবল by জসিম উদ্দিন

বর্তমানে শক্তিশালী চীন দেশের একটি করুণ ইতিহাস আছে। সতেরো ও আঠারো শতকে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো চীনাদের নিয়ে খেলেছে। এর মধ্যে অন্যতম খেলা ছিল মাদকে বুঁদ করে রেখে তাদের শাসন ও শোষণ করা। এ জন্য দুটো যুদ্ধও হয়েছে। ওই দুটো যুদ্ধ ‘আফিম ওয়ার’ ওয়ান ও টু নামে ইতিহাসে পরিচিত হয়ে আছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি তখন গানবোট ডিপ্লোম্যাসি চালিয়েছিল চীনের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশরা তখন নৌ যুদ্ধেও পরাশক্তি। চীনা বন্দরে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ থেকে কামান দাগিয়ে তাদের পদানত করেছিল ব্রিটিশরা। এই যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল চীনা বাজারকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা।
একই সাথে দেশটিকে আধা উপনিবেশ বানিয়ে নিজেদের মতো শাসন করা। রেশম, চীনামাটির তৈরি আসবাব ও চা রফতানি করা হতো ইউরোপে। এর বিপরীতে চীনারা অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করত। চীনা পণ্যের চাহিদা ইউরোপে বিপুল বেড়ে যায়। এর ফলে ব্রিটিশরা বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে পড়ে। অন্য দিকে চীনাদের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী, অ্যালুমিনিয়াম রফতানি বাড়ানোর সুযোগ ছিল না। একটি মাত্র বন্দর দিয়ে শর্ত অনুযায়ী ওই রফতানি চলত। পেরে উঠতে না পেরে একটা ফন্দি এঁটেছিল ধুরন্দর ব্রিটিশ বেনিয়ারা। ব্রিটিশরা মাদক রফতানির উদ্যোগ নিলো চীনে। এই মাদক তারা উৎপাদন করল তাদের উপনিবেশ ভারতে। সেখান থেকে চীনা উপকূলে এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দেয়া হলো মাদক। আফিম বেচা এতটা বেড়ে গেল যে, অচিরেই উদ্বৃত্ত অর্থনীতি বিদায় নিয়ে বাণিজ্য ভারসাম্য ব্রিটিশদের দিকে ঝুলে পড়ল। অন্য দিকে চীনারা বুঁদ হয়ে গেল আফিমে। এ পরিস্থিতি ব্রিটিশদের একধরনের আনন্দ দিয়েছিল। বিশাল একটি জাতিকে বিবেকশূন্য করে ঘুম পাড়িয়ে তারা তাদের বাণিজ্য সুবিধা নিয়েছিল। এ জন্য তারা নিজেদের দেশকে কিন্তু ব্যবহার করেনি। আফিম উৎপাদন করেছে তাদের পছন্দের দেশ ভারতে। তা রফতানি করেছে তৎকালীন শত্রুদেশ চীনে যে দেশটির তারা ক্ষতি করতে চেয়েছিল। এ অবস্থায় চীনা শাসকেরা উদ্বিগ্ন হলেও খুব একটা পেরে ওঠেনি কৌশলী ব্রিটিশদের কাছে। চীনারা চাইলো, দেশে আফিম নিষিদ্ধ করতে। অন্য দিকে ব্রিটিশরা চাইলো এই মাদক দিয়ে তাদের বুঁদ করে ফায়দা ওঠাতে। এতে করে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক সুবিধা যেমন বাড়ে, একইভাবে তেমনি ওই জাতিকে ভেতর থেকে দুর্বল করে রাখা যায়। দীর্ঘ দুই শতাব্দী ধরে চীন চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে গেছে। চীন বিশৃঙ্খলার যুগ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। মাদকের বিস্তার হয়ে চীনা জাতি আবার বিনাশের দিকে না যায়, সে ব্যাপারে চীনা নেতৃত্ব অত্যন্ত সাবধান। একটি সবল জাতি গঠনের জন্য তরুণ প্রজন্মের উপযুক্ত পরিচর্যা দরকার। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো-অশিক্ষা ও ভুল চিকিৎসা থেকে বেঁচে থাকা। বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে কতটা অধঃপতন, সে কথা এখানে নতুন করে উল্লেখের দরকার নেই।
কোনো একটি পক্ষ এমন নেই, যারা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতি গঠনের উপযোগী বলবেন। ত্রুটিপূর্ণ এই ব্যবস্থার মধ্যে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের তরুণদের বিশাল একটা অংশ মাদকের দংশনের শিকার। চীনকে বশীভূত ও চরম দুর্বল করে রাখার এই থেরাপি আপনা থেকেই বাংলাদেশের ওপর আপতিত হচ্ছে। ব্রিটিশ বা অন্য কোনো জাতি আমাদের ওপর মাদকের মায়াবী ছোবল দিচ্ছে না। আমরা নিজেরাই এই ছোবলকে নিজেদের ওপর টেনে আনছি। এ কাজে আমাদের সহযোগী মিয়ানমার হলেও মূল ক্ষতি নিজেরাই করছি। তারও আগে থেকে ভারত মাদক সরবরাহ করে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এখন মাদক বিস্তারের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা ভয়াবহ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, বছরে প্রায় চার কোটি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হচ্ছে এ দেশে। জাতিসঙ্ঘ মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বড়ির সংখ্যা বিক্রি হওয়া মাদকের মাত্র ১০ শতাংশ। সেই হিসাবে ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে বছরে ৪০ কোটি পিস। এর বাজারমূল্য প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। এ বাবদ মিয়ানমারে চলে যাচ্ছে তিন হাজার কোটি টাকা। বাকি তিন হাজার কোটি টাকা বখরা পাচ্ছে এ কাজে বাংলাদেশে যারা সহযোগী আছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) বার্ষিক বাজেট তিন হাজার কোটি টাকা। যে প্রতিষ্ঠানটি এ কাজে বাধা দেবে, তাদের বাজেটের চেয়ে সীমান্তের ওপার থেকে আসা মাদকের বাণিজ্যের আকার যদি বেশি হয়, তাহলে এই সর্বগ্রাসী তৎপরতা রোধ করা যে সহজ নয়, তা বোধগম্য। জাতিসঙ্ঘ মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের তথ্য মতে, এ অঞ্চলে ইয়াবা সরবরাহ করে আসছে মিয়ানমার। প্রতিবেশী দেশগুলো মাদকের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান নেয়ায় সেসব দেশে মাদক পাচার করতে পারে না মিয়ানমার। মিয়ানমারকে নিজেদের স্বার্থে চীন সাহায্য করে যাচ্ছে; কিন্তু তাদের মাদক ব্যবসার বলি নিজেরা হতে চায় না। তাই কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য মিয়ানমার থেকে চীনে প্রবেশ করতে পারে না। অন্য দিকে ফিলিপাইন মাদকের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে। এশিয়ার অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোও মিয়ানমারের মাদকনীতি নিয়ে সাবধানে রয়েছে। এ অঞ্চলের একমাত্র দেশ সম্ভাবত বাংলাদেশ, যে দেশের আইনপ্রণেতা, প্রশাসক ও পুলিশের বিরুদ্ধেও মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই সুযোগে বাংলাদেশে মাদকের বিপুল বিস্তার ঘটছে। একটি সহযোগী দৈনিক জানাচ্ছে, ২০১০ সালে এ দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা ছিল ৪৬ লাখ, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ। প্রাপ্ত তথ্য মতে, মাদকের বড় শিকার তরুণেরা।
প্রতি ১৭ জন তরুণের মধ্যে একজন মাদকাসক্ত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১২ সালে মোট মাদকসেবীর মধ্যে ইয়াবায় আসক্ত রোগী ছিল প্রায় ৬ শতাংশ। কতটা দ্রুত ইয়াবার ব্যবহার বাড়ছে, পরিসংখ্যান থেকে সেটা বোঝা যায়। যখন আমরা জানতে পারি, ২০১৬ সালে এ হার বেড়ে প্রায় ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১১ সালে জব্দ হওয়া ইয়াবা বড়ির সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬০ হাজার, আর ২০১৬ সালে সেটা দাঁড়ায় দুই কোটি ৯৪ লাখে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০১৭ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে তিন কোটি ৮০ লাখ ৯১ হাজার পিস। চলতি বছর শেষে এ ব্যাপারে আরো বিরাট সংখ্যা নিশ্চয়ই আমরা জানতে পারব। সংবাদমাধ্যমের উপর্যুপরি প্রতিবেদনের পর উচ্চ আদালত এগিয়ে এসেছেন। ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতি নির্দেশ দিয়ে উচ্চ আদালত বলেছেন, বিশেষত সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবান প্রাথমিকভাবে এর আওতায় থাকবে। সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে এক মাসের মধ্যে পিবিআইকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। একই সাথে আদালত সব ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য পরিবহন, বিপণন ও সেবনের বিরুদ্ধে যাতে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিশেষ ব্যবস্থা নেন; সে বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন। জাতির প্রতি কমিটমেন্ট থেকে এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল সবার কাজ করার কথা ছিল। সবাই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে কোনোভাবেই ইয়াবা সারা দেশে সয়লাব হওয়ার কথা নয়। মিয়ানমার সীমান্ত ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য অনেকটাই ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। টেকনাফ থেকে ঢাকা পর্যন্ত যানবাহনে পৌঁছতে হলে অনেকবার সেটাতে তল্লাশি চালানো হয়। তাহলে কিভাবে এই রুট দিয়ে বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার ইয়াবা ঢুকে পড়ছে- এই প্রশ্ন খুবই গুরুত্ববহ। এ প্রশ্ন আদালত সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্দেশ করে বলতে চাইলেন। ইয়াবা ও অন্য সব মাদকদ্রব্য অবৈধ প্রবেশ পরিবহন ও বাজারজাতকরণ রোধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতায় কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- জানতে চাওয়া হয়েছে আদালতের রুলে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবির মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অনেক রাঘব বোয়ালের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। ইয়াবার যে বিরাট বাণিজ্য তাতে বোঝা যায়, আত্মপ্রকাশের চেয়ে গোপনে রয়েছে অনেক বেশি ‘রাঘব বোয়াল’। কোনো কোনো পরিবার এমন পাওয়া যাচ্ছে, যাদের সবাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। একইভাবে কোনো কোনো এলাকা কুখ্যাতি অর্জন করছে ‘মাদক চোরাচালানিদের স্বর্গ’ হিসেবে। পত্রিকা একটি অলৌকিক আজগুবি গ্রামের বর্ণনা দিচ্ছে। ওই গ্রামের গরিব লোকজন ধনী হয়ে গাড়ি বাড়ি হোটেল মোটেলের মালিক হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেখানে দৃশ্যমান কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই। পত্রিকা লিখেছে টেকনাফের মৌলভিপাড়া ও নাজিরপাড়া গ্রাম সম্পর্কে। নাজিরপাড়া বাসিন্দা এজাহার মিয়ার ছেলে নুরুল হক। একটি রিকশা কেনারও সামর্থ্য ছিল না, বসতবাড়ি বলতে ছিল গোলপাতার একটি ঘর। সেই নুরুল হক এখন নাজিরপাড়ার দু’টি বাড়ির মালিক। চট্টগ্রাম ও খুলনায় তার ফ্ল্যাট আছে। আছে তিনটি গাড়ি। অনেক জমিও কিনেছে। নাজিরপাড়ায় রাস্তার পাশে এখন মার্কেটও নির্মাণ করছে। কিন্তু তার কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা কৃষি খামার আছে, এমন কেউ বলতে পারেনি। গত বছর তার একটি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৫৭ লাখ টাকার বেশি। তার স্থাবর সম্পত্তির যে বিবরণ পত্রিকা দিচ্ছে, তার আর্থিক মূল্য এর চেয়ে বেশি হবে। পত্রিকাটি আরো অনেকের ভৌতিক ব্যাংক হিসাব তুলে ধরেছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাবে শত কোটি টাকার সন্ধান মিলছে। এক বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১১১ কোটি টাকা। দুদক অনুসন্ধানে গিয়ে দেখতে পায়, চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দীন বাজারে মোবাইল যন্ত্রাংশের একটি ছোট্ট দোকান ছিল জাহিদুল ইসলামের। ১২ বাই ১৩ ফুট আয়তনের ওই দোকানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১২টি হিসাব খোলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওইসব অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে।
৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা হয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার সুযোগ পাওয়া যায়নি। যারা জাহিদুলের ব্যাংক হিসাবে টাকা পাঠিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের নাম ও ফোন নম্বর সংরক্ষিত রয়েছে ব্যাংকে। তবে তাতে তদন্তে কোনো লাভ হয়নি। ওইসব ফোন বন্ধ, নামগুলোও ভুয়া। কারোই পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নেই। ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন বন্ধ করার যে প্রচেষ্টা সরকার চালিয়েছে, সেটি যে সফল হচ্ছে না তা বোঝা যায়। অপর দিকে বাড়তি সতর্কতার কথা বলে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। ‘কোনো জাতিকে যদি দুর্বল করে দিতে হয় তাহলে তার তরুণ প্রজন্মকে মাদকে আসক্ত করে দাও’। বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে দুটো দেশের সাথে। প্রথমে ভারত থেকে আমাদের এখানে নানা ধরনের মাদক আসত। পরে মিয়ানমারও একই পথ অবলম্বন করছে। ভারত থেকে আসা মাদক বন্ধ হয়নি। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তে মদ ও অন্যান্য অবৈধ দ্রব্যের কারখানা গড়ে উঠেছে। সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত ক্ষতিকর এসব কারখানা বন্ধ করছে না। এর মধ্যে ইয়াবা বিক্রি করে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার আয় করে নিচ্ছে দরিদ্র বাংলাদেশ থেকে বছরে তিন হাজার কোটি টাকা। দেশটি অনেক অস্ত্রশস্ত্র কিনছে। সমর ব্যবস্থাপনায় তারা অচিরেই বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে দেবে। এ কাজে তারা বাংলাদেশকেই এক ধরনের সহযোগী হিসেবে পাচ্ছে। এই সহযোগিতা করতে গিয়ে বাংলাদেশ নিজেকে ধ্বংস করার পথই যেন অবলম্বন করছে।
jjshim146@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.