সুনামগঞ্জের ২ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

পাহাড়ি ঢল ও টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানির তোড়ে শুক্রবার রাতে তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী জাঁদুকাঁটা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে শুক্রবার রাত থেকে এ বন্যা পরিস্থিরি সৃষ্টি হয়। এছাড়া তাহিরপুরের আনোয়ারপুর বাজারের ৫০ দোকানের কয়েক কোটি টাকার মালামাল পানিতে ভেসে গেছে। তাহিরপুরের উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া শুক্রবার রাতে যুগান্তরকে জানান, বাজারের পাশের সড়ক ও বাঁধ ভেঙ্গে ৫০টি দোকানের মালামাল পানিতে ভেসে গেছে। দোকানের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া সুলতানা যুগান্তরকে জানান, শুক্রবার উপজেলার ১১টি গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ জানান, পাহাড়ি ঢল ও তিন দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, জেলার সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সন্ধার পর থেকে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সঙ্গে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী জাঁদুকাঁটা, পাটলাই, বাগলী ছড়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি করনীয় নির্ধারনে জরুরি বৈঠকে করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.