ভারত-পাকিস্তান লড়াই এবার হেগের আদালতে

পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ স্থগিত করতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে ভারতের সাবেক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তান। দিল্লির আইনজীবীরা কুলভূষণ যাদবের সাজা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) কাছে আবেদন জানায়। এ বিষয়ে সোমবার হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে সকালে জরুরি শুনানি হয়েছে। খবর এএফপির। গত বছর বেলুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, যাদব ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন। তবে ভারত পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের এ দাবি নাকচ করে জানান, তিনি গুপ্তচর নন। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এক বিবৃতিতে জানায়, গত সপ্তাহে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ভিয়েনা কনভেনশনের গুরুতর লংঘনের’ অভিযোগ এনে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করে।
নয়াদিল্লির মতে, যাদবকে আটক করার পর দীর্ঘ সময় ভারত কিছু জানতে পারেনি। পাকিস্তান যাদবকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা এ ব্যাপারে ভারতকে ‘জানাতে ব্যর্থ হয়েছে’। সোমবারের শুনানিতে যাদবের প্রতি ‘শর্তাধীন পদক্ষেপ’ আরোপের জন্য আর্জি জানায় ভারত। আইসেজির শুনানিতে ভারতের আইনজীবী দিপক মিত্তাল তার মক্কেলের বিরুদ্ধে করা এ মামলাকে ‘সাজানো ও প্রহসন’ বলে উল্লেখ করেছেন। আন্তর্জাতিক এ আদালতের রায় হবে চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পরে আগস্ট মাসের সেই ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পাকিস্তান। সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে ভারতের থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় পাকিস্তানের তরফে। মাস দুয়েক পর নভেম্বর মাসে আদালত ভারতকে ক্লিনচিট দেয়। ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ফের আবেদন করে। ১৬ জন বিচারপতির মধ্যে ভোটাভুটিতে ১৪-২ ব্যবধানে ভারতের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ১৮ বছর আগের সেই মামলায় পাকিস্তানের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত।

No comments

Powered by Blogger.