ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য তালিকায়

পুরান ঢাকায় দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের গতকাল রোববারের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য ২০ নম্বর ক্রমিকে ছিল। সঙ্গে আসামিদের আপিল ও জেল আপিল রয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপার বুক প্রস্তুত করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে পেপার বুক প্রস্তুতের পর তা সরকারি ছাপাখানা থেকে গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়। সূত্র বলেছে, এরপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন। গতকাল মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। এই আদালতে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশা করছি দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হবে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২১ আসামিই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন রফিকুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রাশেদুজ্জামান, ইমদাদুল হক, কাইয়ুম মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার (পলাতক) ও নূরে আলম (পলাতক)। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, মনিরুল হক, তারিক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম (২), কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। তাঁদের মধ্যে কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা ছাড়া বাকিরা পলাতক।

No comments

Powered by Blogger.