মুসলিম পারিবারিক আইন বর্বরোচিত : ভারতীয় বিচারপতি

ভারতের প্রেস কাউন্সিলের প্রধান বিচারপতি মার্কান্ডে কাতজু মুসলিম পারিবারিক আইনকে বর্বরোচিত, পশ্চাৎপদ ও অন্যায় হিসেবে অভিহিত করে অভিন্ন আইন চালুর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি আধুনিক দেশের অভিন্ন দেওয়ানি আইন রয়েছে। কিন্তু ভারতে মুসলিম ভোট ব্যাংকের ভয়ে কেউ এ নিয়ে কথা বলছে না। তিনি শাহ বানু মামলায় সর্বোচ্চ আদালত পশ্চাদমুখী রায় দিয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।

বিচারপতি কাতজু মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান ওমেন্স প্রেস কোরে নারীদের বিচার পাওয়ার সমান অধিকার না পাওয়াবিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘মুসলিম পারিবারিক আইন বর্বরোচিত, পশ্চাৎপদ ও অন্যায়... এটা সামন্ততান্ত্রিক আইন। বিশ্বে সব দেশের একটি আইন আছে।... আমাদের নেই কেন? আমি অভিন্ন দেওয়ানি আইন সমর্থন করি।’
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন বিজেপির অন্যতম ইস্যু হলো অভিন্ন দেওয়ানি আইন। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রাসাদ পার্লামেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, সরকার এ দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করবে।
কাতজু বিচার বিভাগে দুর্নীতির ‘আশঙ্কজনক বিস্তৃতির’ ব্যাপারেও দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বিচারকদের মধ্যে দুর্নীতি বিস্তৃতি নিয়ে সম্প্রতি একটি বিতর্কিত মন্তব্যও করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এক বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজ বিচারকদের কঠোর শাস্তি দেয়া উচিত।... দুর্নীতিবাজকে ফাঁসি দেয়া উচিত।’
সদ্য অবসর নেয়া প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা অবসরগ্রহণের পর দুই বছর পর্যন্ত কোনো বিচারপতিকে অন্য কোনো দায়িত্ব না দেয়ার সুপারিশের ব্যাপারেও সমালোচনা করেন কাতজু। তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো আইন নেই।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সত্যশিবমের কেরালার গভর্নর হওয়ার প্রতিও তিনি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন এতে অন্যায় কিছু হয়নি।
ভারতে সাম্প্রতিককালে শত শত বিচারককে বিভিন্ন সংস্থার প্রধান করা হচ্ছে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.