সহিংসতা-বিক্ষোভে বাংলাদেশের নির্বাচন বিঘ্নিত হতে পারে

সহিংসতা ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্ক তুঙ্গে উঠছে।
যদিও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন, যে, নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। গত মাসে বিরোধী দলগুলোর রাজপথে সংঘাতের পর গ্রীষ্মজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। অনেকেই তাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বিশ্বের অষ্টম জনবহুল এই দেশ নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতে নিমজ্জিত হবে।  আজ বৃটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা অনলাইন গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ‘ভায়োলেন্স এন্ড প্রোটেস্টস কুড ডিরেইল বাংলাদেশ ইলেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ঢাকা থেকে জেসন বার্ক-এর লেখা ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখন থেকে ৬ বছর আগে সহিংসতা ও হরতালের কারণে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। গার্ডিয়ানের ভাষায়, বিতর্কিত একটি আদালতে (A controversial Tribunal) ৪২ বছর আগের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে মেরুকরণ হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে ওই আদালত রায় দেয়ার পর কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এরপর এপ্রিলে একটি গার্মেন্ট কারখানা ধসের ফলে প্রায় ১১৩০ জনের প্রাণহানী হয়। এই কারখানা পশ্চিমাদের জন্য পোশাক প্রস্তুত করত। বাংলাদেশে যে বিকাশমান গার্মেন্ট বাণিজ্য আছে তা রাজনৈতিক যেকোন রকম সঙ্কটতে মারাত্মক রকম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই গার্মেন্ট থেকেই রপ্তানির শতকরা ৮০ ভাগ অর্জিত হয়। এ খাতে কাজ করেন ৩৫ লাখের মতো মানুষ। এমন পরিস্থিতি হলে তাদের অবস্থার উন্নয়ন করা হয়ে পড়বে জটিল।

No comments

Powered by Blogger.