চার ফিফটিতে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা

প্রায় ভুলে যাওয়া একটা স্বাদ শ্রীলঙ্কা পেয়েছে। আরেকটাও কী পাবে?
এ বছর ছয়টি টেস্ট খেলেও যেটির দেখা নেই, টানা সাত টেস্টে যা পায়নি, কাল সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সেটাই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা—লিড! তৃতীয় দিন শেষে ১১২ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা, হাতে চার উইকেট। গত ১০ টেস্টে দেখা না পাওয়া জয়ের স্বাদও কি পাবে?
সিরিজে নিজেদের সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর সেই আশা করতেই পারে শ্রীলঙ্কা। আগের দিন ফিফটি পেয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, কাল হলো আরও তিনটি ফিফটি। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তৃতীয় দিনের উইকেট এমনিতেই ব্যাটিংয়ের জন্য সেরা, অস্ট্রেলিয়ানদের বোলিংয়েও ছিল না ধার। সারা দিনে উইকেট পড়ল মাত্র চারটি।
তবে কালকের দিনটাই আবার ড্রয়ের সম্ভাবনাও জাগাচ্ছে। নির্বিষ বোলিংয়ে উইকেট না পেলেও রানের গতিতে লাগাম ভালোই পরাতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। আড়াইয়ের সামান্য বেশি শ্রীলঙ্কার রানরেট, লিডটা তাই আরও বড় হতে পারেনি। আজ চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কা যত সময় ব্যাট করবে, অস্ট্রেলিয়ার ড্র করার সম্ভাবনা ততই বাড়বে।
দিনের শুরুটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ৩১ রান নিয়ে দিন শুরু করা জয়াবর্ধনে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন দ্রুতই। কিন্তু ক্যারিয়ারে অযুতবারের মতো অনেক বাইরের এক বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি হাতছানি দিচ্ছিল বলেই কিনা, একটু যেন বেশিই সতর্ক ছিলেন সাঙ্গাকারা। কিন্তু প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে দারুণ এই কীর্তি আর গড়া হলো না। দ্বিতীয় নতুন বল হাতে পেয়ে প্রথম ওভারেই সাঙ্গাকারাকে ফিরিয়েছেন পিটার সিডল।
অস্ট্রেলিয়া নিশ্চয়ই তখন লিড পাওয়ার আশাও করছিল। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি ছিটিয়ে দিল দিলশান-ম্যাথুসের রেকর্ড জুটি। দুজনের ১২১ রানের জুটি পঞ্চম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ। দুই বছর পর মিডল অর্ডারে ফিরে রানেও ফিরেছেন দিলশান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন (২০০৪ সালে গলে), আবার পঞ্চাশ পেরুলেন ১৩ ইনিংস পর। ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথুস আর প্রসন্ন জয়াবর্ধনের ৮৩ রানের জুটি দলকে এনে দেয় লিড। ছোট্ট ক্যারিয়ারে দুবার নব্বইয়ে কাটা পড়া ম্যাথুসকে হাতছানি দিচ্ছে সেঞ্চুরি। মাত্র ১৫ রান দূরে সেই মোক্ষধাম।

No comments

Powered by Blogger.