অস্ত্র সংগ্রহে আগ্রহী হয়ে উঠেছে সৌদি আরব

অস্ত্র সংগ্রহে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব। দেশটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করলেও এবার জার্মানির কাছ থেকে ২০০টি ট্যাঙ্ক কিনছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরব ইরানকে হুমকি ভেবেই অস্ত্র আমদানি করে থাকে। তবে এখন ইরাক থেকে আসন্ন মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং ইয়েমেন ও বাহরাইনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৌদি আরব অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
মিডলইস্ট ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের পরিচালক আনোয়ার এসকি বলেন, ‘ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হলে তা হবে ওই অঞ্চলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ সময়। তাই সৌদি আরব ও উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সাধারণ উপলব্ধি, ওই সময়ে নিজেদের রক্ষা করার সামর্থ্য তাদের থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, সৌদি আরব জানে, ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে ওই অঞ্চলে ইরান প্রভাব বিস্তার করতে চাইবে। তাই শুধু জার্মানি নয়, রাশিয়া থেকেও অস্ত্র কেনার চেষ্টা করছে তারা।
ইরাকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে ৪৬ হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। যদিও মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, ইরাক অনুরোধ করলে ওই সময়ের পরে কিছু সেনা সেখানে অবস্থান করবে।
জার্মানির ডের স্পিগেল সাময়িকীর ওয়েবসাইটে বার্লিনের কাছ থেকে সৌদি আরবের ট্যাঙ্ক কেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যার দাম ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সৌদ আল ফয়সাল ৫ জুলাই বলেন, ‘উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখার কৌশল নিয়েছে। ইরান এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে শুধু নিজের স্বার্থ নয়, সবার স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে।’
ইনস্টিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট অ্যান্ড গালফ মিলিটারি অ্যানালাইসিসের পরিচালক থিয়োডর কারাসিক বলেন, সৌদি আরব ইয়েমেন ও ইরানের কাছ থেকে হুমকির মুখে রয়েছে। যা দেশটির নেতৃত্বকে অস্ত্র সংগ্রহের দিকে ঝোঁকার মানসিকতায় গতি এনে দিয়েছে। সিরিয়া ও লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

No comments

Powered by Blogger.