‘পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা’ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম প্রকাশ দিল্লির

ভারত গত বুধবার ৫০ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে, যারা তাদের ভাষ্যমতে পাকিস্তানে লুকিয়ে আছে। এই তালিকায় মুম্বাইয়ের অপরাধ জগতের শীর্ষনেতা দাউদ ইব্রাহিম, মুম্বাইয়ে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসবাদী হামলার কথিত মূল হোতা লস্কর-ই-তাইয়েবার (এলইটি) প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাইদ এবং কথিত সন্ত্রাসী জাকিউর রেহমান লাখভির নাম রয়েছে। তালিকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পাঁচজন মেজরেরও নাম আছে। ৫০ জনের এই তালিকায় ১৭ জন পাকিস্তানের নাগরিক।
২ মে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর সেনাদের অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকে ইসলামাবাদ এরই মধ্যে চাপে রয়েছে। এই অবস্থায় ভারত কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এই তালিকা প্রকাশ করল।
গত মার্চে ভারত ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের আলোচনায় নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের কাছে এই তালিকা হস্তান্তর করে। ভারত জনসমক্ষে বুধবার এটি প্রকাশের আগের দিনই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক দাবি করেন, দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে নেই।
তালিকার চার নম্বরে রয়েছেন মেজর ইকবাল, যিনি পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইএ কর্মরত বলে সন্দেহ করা হয়। জানা গেছে, মুম্বাই হামলা নিয়ে শিকাগোর আদালতে এফবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে ইকবালের নাম আছে।
এর আগে সোমবারই ভারত শিকাগোর আদালতে মুম্বাই হামলার বিষয়ে দেওয়া দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে উল্লিখিত পাঁচ পাকিস্তানি নাগরিকের নাম প্রকাশ করে। তারা মুম্বাই হামলার ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগ।
৫০ জনের তালিকায় জইশে মোহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারেরও নাম আছে। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলার প্রধান অভিযুক্ত মাসুদ আজহার। ১৯৯৯ সালে আফগানিস্তানে ছিনতাই হওয়া একটি ভারতীয় বিমানের যাত্রীদের মুক্তির বিনিময়ে মাসুদ আজহারসহ তিন জঙ্গিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তালিকার আরেকটি বড় নাম হলো ইলিয়াস কাশ্মীরি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে অপরাধ সংঘটন এবং ভারতে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। আল-কায়েদায় ওসামা বিন লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের তালিকায় ইলিয়াস কাশ্মীরির নাম উঠে এসেছে।
তালিকায় আরও আছে মেমন ইব্রাহিম ওরফে টাইগার মেমন, শেখ শাকিল ওরফে ছোট শাকিলসহ দাউদ ইব্রাহিমের বেশ কয়েকজন সহযোগীর নাম। এরা সবাই মুম্বাইয়ের ১৯৯৩ সালের ক্রমিক বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত।

No comments

Powered by Blogger.