হাইতিতে ত্রাণ তত্পরতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিলেন ক্লিনটন

ভূমিকম্পবিধ্বস্ত হাইতিতে ত্রাণ তত্পরতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। গত শুক্রবার হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স সফরের সময় তিনি ওই প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে শিশু পাচারের চেষ্টার অভিযোগে হাইতিতে আটক মার্কিন ১০ নাগরিকের বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য মার্কিন সরকার ও হাইতি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্লিনটন।
হাইতিতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তিনি যখন হাইতির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন সেখানে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মন্থরগতিতে চলা ত্রাণ বিতরণ জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন। ত্রাণকাজে বিল ক্লিনটনের এটা দ্বিতীয় হাইতি সফর।
গত ১২ জানুয়ারি সাত মাত্রার ভূমিকম্পে হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সেখানকার কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে দুই লাখ ১২ হাজার মানুষ।
সমন্বিত ত্রাণ তত্পরতায় বিলম্বের কারণে দুঃখ প্রকাশ করেন বিল ক্লিনটন। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে এতে সময় বেশি লেগে গেছে। তবে ত্রাণ তত্পরতার সঙ্গে জড়িত লোকজন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যেসব কাজ এখনো করা হয়নি এবং যেগুলো জোরদার করা প্রয়োজন, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমি। আমি সেসব শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করব। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী অনেক মানুষ এখনো তাদের বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের কাছে বসবাস করছেন। অস্থায়ীভাবে নির্মিত ৬১৫টি অস্থায়ী শিবিরে গাদাগাদি করে অবস্থান করছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ।
বিল ক্লিনটন বলেন, যারা এখনো রাস্তায় রাত যাপন করছে, তাদের সাহায্যের জন্য কয়েক দিনের মধ্যে কয়েক হাজার নতুন তাঁবু হাইতিতে এসে পৌঁছাবে। ত্রাণ বিতরণে সহায়তার জন্য কয়েক শ ট্রাক আসছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে হাইতিতে আটক মার্কিন ১০ নাগরিকের বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ এবং শিশুদের অবৈধভাবে হাইতির বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিল ক্লিনটন সিএনএনকে বলেন, এই মুহূর্তে যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো হাইতি ও মার্কিন সরকারের একত্রে কাজ করা। তিনি বলেন, বিপর্যয়কর ভূমিকম্পের পর হাইতি থেকে শিশু পাচার রোধ এবং বেআইনি দত্তক নেওয়া থেকে হাইতির শিশুদের রক্ষা করতে হাইতি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়টি তিনি বোঝেন।
সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা গেছে, উদ্ধার করা অনেক শিশুই এতিম নয়। কিন্তু উন্নত জীবনের আশায় মা-বাবা তাদের অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.