ভাগ্যের হাত ধরে শ্রীলঙ্কার জয়

ম্যাচ শেষে জর্জ কোটানকে দেখে যে কারও মায়া হতে পারত। তিনি বিষণ্ন, হতাশ। একটু বিরক্তও। অথচ এই কোটানই ছয় বছর আগে এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে হেসেছিলেন বিজয়ীর হাসি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন প্রথম সাফ ফুটবলের শিরোপা। এবার পাকিস্তানের কোচ হয়ে সেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেতে হলো তাঁকে। বঙ্গবন্ধু সাফ ফুটবলের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা কাল ১-০ গোলে হারাল পাকিস্তানকে। পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেছেন চাতুরা গুনারত্নে।
ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে পেনাল্টি পায় পাকিস্তানও। কিন্তু গোল করতে পারেননি আদনান ফারুক।
২৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে আগুয়ান শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় ইবি চান্নাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের গোলরক্ষক জাফর খান। পেনাল্টি পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। আর তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি চাতুরা।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে নিষ্প্রাণ ম্যাচটা হঠাত্ করেই প্রাণ পায়। ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার দুমিদু হিতারাচি। ১০ জনের দলে পরিণত শ্রীলঙ্কার জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে সঞ্জয় প্রদীপ কুমারার লাল কার্ড। ডি বক্সে হাত দিয়ে বল থামানোর চেষ্টা করে দ্বিতীয়বারের মতো হলুদ কার্ড দেখেন তিনিও। পেনাল্টি থেকে গোল শোধের সুযোগ আসে পাকিস্তানের। কিন্তু আদনান ফারুকের শট বারের অনেক ওপর দিয়ে চলে যায় বাইরে। ম্যাচ শেষে হতাশ কোচ কোটান ভাগ্যকেই দায়ী করলেন, ‘দুর্ভাগ্যই বলতে হবে আমাদের। সেই সঙ্গে হতাশও আমি। প্রথমার্ধে আমাদের ছেলেরা একটু নার্ভাস ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালো খেলেছে। পেনাল্টি মিস করাটাই আমাকে বেশি হতাশ করেছে। বেশ কিছু সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে আমাদের।’ শ্রীলঙ্কার ট্রেনার সুমিত ওয়ালপোলা ৩ পয়েন্ট পেয়েই খুশি, ‘আমরা নিজেদের ভাগ্যবানই বলব। এমন ম্যাচে পুরো পয়েন্ট পাওয়াটা আনন্দের।’

No comments

Powered by Blogger.