শিশুনিগ্রহের ঘটনায় অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী রাডের দুঃখ প্রকাশ

অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শিশুপরিচর্যা কেন্দ্র ও অনাথ আশ্রমে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনসহ নানা ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড। ব্রিটেন থেকে এসব শিশুকে অভিবাসনে বাধ্য করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাডের ভাষণ শোনার জন্য গতকাল সোমবার পার্লামেন্ট হাউসে জড়ো হয়েছিল নিগ্রহের শিকার এক হাজার মানুষ। প্রধানমন্ত্রী রাড যখন ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন এতিমখানা ও ইনস্টিটিউটে সংঘটিত কয়েকটি হূদয়বিদারক নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখন অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেভিন রাড বলেন, ‘জাতির পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করার জন্য আজ আমরা একত্র হয়েছি। যেসব শিশুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাদের উপকূলে পাঠানো হয়েছিল, তাদের বলছি যে আমরা দুঃখিত।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুঃখিত যে আপনাদের শিশু অবস্থায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে এখানে আনা হয়েছিল। যেখানে আপনারা প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব শারীরিক দুঃখ-কষ্টের জন্য আমরা দুঃখিত।’
রাড বলেন, অতীতের বিভিন্ন ঘটনায় অভিবাসী শিশু ও তাদের অভিভাবকেরা যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন, সে জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। সেই নিগ্রহের জন্য এখন দুঃখ প্রকাশ অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
ব্রিটেন গত শতাব্দীতে কয়েক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে সুন্দর ভবিষ্যতের কথা বলে অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ সাবেক উপনিবেশগুলোতে পাঠায়। শিশু-অভিবাসন কর্মসূচির অধীনে ৪০ বছর আগে ব্রিটিশ সরকার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনে বাধ্য করা এসব শিশুকে রাষ্ট্র ও গির্জানিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়। সেখানে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় এবং শ্রমে বাধ্য করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.