হাসপাতালে অবৈধ মার্কেট সেবায় ব্যাঘাত ঘটে এমন কাজের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে একশ্রেণীর কর্মচারী অবৈধভাবে একটি ওষুধের মার্কেট গড়ে তুলছেন। প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেই, তবু প্রকাশ্যে চলছে নির্মাণকাজ। মার্কেট নির্মিত হলে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হবে—এটি জানা থাকার পরও কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও দেখছে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি; কিন্তু নির্মাণকাজ শুরু করা হলো। কর্তৃপক্ষের সায় না থাকলে এমনটা ঘটতে পারার কথা নয়। প্রকাশ্যে হাসপাতালের জমিতে অনুমোদনহীন নির্মাণকাজ চলছে, অথচ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না—এ থেকেও কর্তৃপক্ষের কোনো না কোনো মহলের যোগসাজশ থাকার ধারণাটি বদ্ধমূল হয়। দাবি করা হয়েছে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কল্যাণে তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে এ মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। অতীতে আমরা দেখেছি, কর্মচারীদের কল্যাণের নাম করে কৌশলে সরকারি সম্পদ কাজে লাগিয়ে নেতা ও তাঁদের সহযোগীরা পকেট ভারী করেছেন। এবার শোনা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত কল্যাণ সমিতির নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে দোকান ভাগ করে নিয়েছেন। এসব দোকান সাধারণ কর্মচারীদের কতটা ‘কল্যাণে’ আসবে, সে প্রশ্নও চলে আসে।
যেকোনো বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াই হাসপাতালের প্রধান কাজ। আমাদের হাসপাতালগুলোতে এমনিতেই স্বাস্থ্যসেবা বেশ অপ্রতুল; তার ওপর যদি হাসপাতালের জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হয়, তবে সেবার মান আরও পড়ে যাবে। সেখানে সারাক্ষণ ভিড় লেগে থাকবে, যা চিকিত্সাসেবায় ব্যাঘাত ঘটাবে। যে কাজ সেবা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটায়, তা কর্তৃপক্ষ কেন নীরবে সহ্য করবে? সেবা দেওয়ার চেয়ে ‘ব্যবসা’ করাটাই কি তাদের কাছে বড়?
হাসপাতালে সেবার পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেবায় ব্যাঘাত ঘটায়, এমন অনুমোদনহীন কাজের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

No comments

Powered by Blogger.