কাশ্মীরে কারাগারে জায়গা নেই: হোটেল-গেস্ট হাউস ডিটেনশন কেন্দ্রে পরিণত

জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করার পর তাদেরকে আটক রাখতে জায়গার সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে যাতে আটক ব্যক্তিদের সেখানে রাখা যায়। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সূত্র উদ্ধৃত করে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ‘আজতক’ হিন্দি টিভি চ্যানেল ওই তথ্য দিয়েছে। 

ভারতের কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার জমু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে সেরাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহর মতো সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল  কনফারেন্সের প্রধান ডা. ফারুক আব্দুল্লাহসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি অথবা আটক করা হয়েছে। অতীতে যারা পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উপত্যকার পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সে জন্য ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিক কত লোককে আটক রাখা হয়েছে তা প্রশাসন ও পুলিশ তা প্রকাশ্যে আনছে না। যদিও এই সংখ্যা খুব বেশি হওয়ার কারণে বেসরকারি স্থানকে ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ভাড়া নিতে হচ্ছে। এর মধ্যে গেস্ট হাউস, ছোট হোটেল ও আবাসিক সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এরআগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বন্দিকে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের আগ্রা ও বেরেলি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী মুহাম্মাদ সাগর, কাশ্মির হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মিয়াঁ কাইয়ুম ও কাশ্মির চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা মুবীন শাহও রয়েছেন। বিক্ষোভের আশঙ্কায় ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলে সেখানকার কারাগারগুলোতে জায়গা না থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকল্প উপায়ের কথা ভাবা হয়েছে।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজিপি) মুনির খান  বলেন, জননিরাপত্তা আইন (পিএসএ) এর আওতায় কিছু লোককে আটক করা হয়েছে, যার মাধ্যমে উপত্যকার সন্দেহভাজনদের কয়েক বছর কারাগারে রাখা যায়। পেলেটগানের আঘাতে কিছু লোক আহত হয়েছে এবং কিছু এলাকায় পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘পিএসএ’র আওতায় কয়েকটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।  কারও প্রাণহানি হোক আমরা তা চাই না বলেও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজিপি) মুনির খান মন্তব্য করেন।

No comments

Powered by Blogger.