আইএস যদি ‘খিলাফত’ হারায়

কিছুদিন ধরে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম সানন্দে খবর দিচ্ছে, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ‘খিলাফত’ বা ইসলামি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমা দ্রুত ছোট হয়ে আসছে। সাধারণভাবে এটা আনন্দের ব্যাপারই বটে, তবে নির্মল আনন্দের নয়। কেন নয়? সে কথায় পরে আসছি। আইএসের স্বঘোষিত রাষ্ট্রটি ছোট হয়ে আসছে বললে ঠিক বোঝা যায় না তার আকারটা কত বড়। অবশ্য এ বিষয়ে নানা সূত্রের ভাষ্য নানা রকম। কেউ বলেন, ২০১৪ সালের জুন মাসে আইএস যখন ঘোষণা করে যে তারা ইরাক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক নতুন খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছে, তখন তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার মোট আয়তন ছিল গ্রেট ব্রিটেনের আয়তনের সমান; কেউ বলেন, তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আয়তনের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, খলিফা আল-বাগদাদির ‘খিলাফত’ রাষ্ট্রের আয়তন ১২ হাজার বর্গকিলোমিটার, মানে বেলজিয়ামের আয়তনের সমান। আবার দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিন লিখেছে, ‘খিলাফত’-এর আয়তন ৩৫ হাজার বর্গমাইল বা জর্ডানের আয়তনের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইনফরমেশন হ্যান্ডলিং সার্ভিসেস’ (আইএইচএস) নামের এক সংস্থাও বলে ৩৫ হাজার বর্গমাইল।
এই ৩৫ হাজার বর্গমাইল আয়তনের স্বঘোষিত রাষ্ট্রটির অভ্যুদয় ঘটে ইরাকের উত্তর-পশ্চিম অংশের চারটি প্রদেশ আনবার, সালাহ্উদ্দিন, কিরকুক ও নিনেভা এবং সিরিয়ার রাকা, দির এল জুর, হাসাকা, আলেপ্পো, পালমিরা অঞ্চল নিয়ে। আইএস এসব অঞ্চলে ইরাক ও সিরিয়ার মাঝখানের সীমান্ত তুলে দেয়। রাস্তাঘাট, বন্দর, বিমানঘাঁটি, তেলক্ষেত্র ও তেল পরিশোধনকেন্দ্র, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন, ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থা, টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীপথে নৌচলাচল ইত্যাদি সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়ে নেয়। তারা যুদ্ধে ভেঙে পড়া সরকারি সেবা–ব্যবস্থাগুলো আবার চালু করে, বিচারালয় খোলে, কারাগার সংস্কার করে, হাটবাজার বসায়, বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট মেরামত করে, বাস্তুহারা দরিদ্র লোকজনের জন্য লঙ্গরখানা খোলে, এমনকি ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে। তারা ইরাক ও সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর সঙ্গে চোরাই পথে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে মাত্র ৩০ মাইল পশ্চিমের শহর ফালুজায় তারা তাদের খিলাফতের পতাকা ওড়ায়, সেই ফালুজা থেকে উত্তর-পশ্চিমে সিরিয়ার রাকা-আলেপ্পো পর্যন্ত তাদের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ। রাকা ও আলেপ্পো তুরস্কের সীমান্তবর্তী। ওই পথে তারা বিপুল পরিমাণ তেল চোরাই পথে বিক্রি করে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ভাষ্য অনুযায়ী,
আইএস চোরাই পথে তেল বিক্রি করে প্রতিদিন গড়ে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। অধিকৃত এলাকাগুলোর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা কর আদায় করে। সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অর্থনীতি বিষয়ের গবেষক ও অর্থনীতিবিদ লোরেত্তা নাপোলিওনি রাশিয়ার আরটি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইরাকে মোট উৎপাদিত গমের ৪০ শতাংশ উৎপন্ন হয় আইএসের অধিকৃত এলাকায়। তারা এই গম বিক্রি করে ইরাক সরকারের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে। এ ছাড়া তারা ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান ও তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর চোরাচালানি কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম বিক্রি ইত্যাদি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে। তারা তাদের প্রায় ৩০ হাজার যোদ্ধাকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয়, তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যয় এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনার অর্থেরও জোগান দেয়। এসব বর্ণনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, আইএস এক নতুন ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর পত্তন ঘটাতে সক্ষম হয়, যেটাকে গোটা পৃথিবী রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না দিলেও তা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রেরই বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। ৩৫ হাজার বর্গমাইলের ভূখণ্ডটি তাদের ‘সেফ হেভেন’, তাদের রাজস্বের প্রধান উৎস, নিরাপদ প্রশিক্ষণক্ষেত্র এবং বৈশ্বিক জিহাদ পরিচালনার কেন্দ্রভূমি। সাড়ে তিন লাখ সদস্যবিশিষ্ট ইরাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আইএসের মাত্র হাজার তিরিশেক যোদ্ধার সামরিক সাফল্য ছিল নজিরবিহীন ঘটনা। ২০১৪ সালের জুন ‘খিলাফত’ ঘোষণার পরও প্রায় ছয় মাস ধরে তারা ইরাক ও সিরিরায় নতুন নতুন এলাকা নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে তারা এলাকা হারাতে শুরু করে। ইনফরমেশন হ্যান্ডলিং সার্ভিসেস নামের সংস্থাটির হিসাবে আইএস গত ১৮ মাসে প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সিরিয়ায় তারা হারিয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হাসাকা; আলেপ্পোর মনজিব শহরও তারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস নামের যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীজোটের কাছে হারাতে বসেছে। ইরাকে তারা হারিয়েছে কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকা। চার মাসের প্রবল যুদ্ধের পর তারা ইরাকি সরকারি বাহিনীর কাছে হারিয়েছে রামাদি। তার আগে হারিয়েছে তিকরিত। আর গত ২৬ জুন তারা হারিয়েছে ফালুজা শহর ও তার আশপাশের এলাকা। ফালুজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য তারা ইরাকি সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল প্রায় পাঁচ সপ্তাহ। এই যুদ্ধে তাদের এক হাজার যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে, ইরাকি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে আরও হাজার খানেক। নিউজউইক পত্রিকা বলছে, ফালুজার যুদ্ধে আইএস এমন প্রবল মার খেয়েছে যে তাদের অনেক যোদ্ধা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে গেছে বিভিন্ন দিকে। ফালুজা শহরে ইরাকের রাষ্ট্রীয় পতাকা ওড়ানোর পর ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উল্লাসের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন, তাঁরা অচিরেই মসুল শহরও আইএসের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করবেন। মসুল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৬০ মাইল উত্তরের মসুল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ২০১৪ সালে আইএস ইরাকি সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে মসুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পরই তাদের ‘খিলাফত’ রাষ্ট্রের পত্তন ঘোষণা করেছিল। মসুলকে তারা বলে ইরাকে তাদের রাজধানী।
এটা হারালে ইরাকের অবশিষ্ট অধিকৃত অঞ্চলে তাদের পতন ভীষণ ত্বরান্বিত হবে। মসুলের লড়াই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ১২ জুনের নিউজউইক-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকি সরকারি বাহিনী মুসলের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে গত মঙ্গলবার আইএস-অধিকৃত এমন একটা গ্রাম দখল করে নিয়েছে, যেটার সামরিক কৌশলগত গুরুত্ব বিরাট। ওই গ্রাম নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে ইরাকি সরকারি বাহিনী টাইগ্রিস নদীর তীর ধরে ভিন্ন এক দিক থেকে মসুল শহরের ওপর আক্রমণ চালাতে পারবে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, আইএসের ‘খিলাফত’ রাষ্ট্রের ফিজিক্যাল এক্সিস্ট্যান্স বা ভৌত অস্তিত্ব গুরুতর হুমকির মুখে। ইরাকে সরকারি বাহিনী আগের সমস্ত দুর্বলতা দৃশ্যত কাটিয়ে উঠেছে, উপরন্তু তাদের পেছনে রয়েছে ইঙ্গ-মার্কিন জোটের সামগ্রিক মদদ, তারা এখন আইএস যোদ্ধাদের পাল্টা মার দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে। তাদের পাশাপাশি আছে শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী। আর সিরিয়ায় রুশ-ইরানি মদদপুষ্ট বাশার আল-আসাদের সরকারি বাহিনী, সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস নামে জোটবদ্ধ আমেরিকা-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো, কুর্দি বাহিনী—সব মিলিয়ে রণাঙ্গনে এখন আইএসের চোখে সরষে ফুল দেখার মতো অবস্থা। ইতিমধ্যে তাদের যোদ্ধার সংখ্যা অনেক কমে এসেছে; গত ফেব্রুয়ারিতে রামাদির লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার পর তাদের মোট যোদ্ধার সংখ্যা ১৯ হাজারে নেমেছিল বলে কিছু সূত্রে বলা হয়েছিল। তার পরের ছয় মাসে তারা আরও অনেক যোদ্ধা হারিয়েছে; সর্বশেষ ফালুজা পতনের পর তাদের সংখ্যা এখন মোট ১২ হাজারে নেমে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুদ্ধে প্রাণ হারানো ও আটক হওয়ার ফলেই যে শুধু যোদ্ধার সংখ্যা কমছে তা নয়, অনেকে নাকি পালিয়েও যাচ্ছে, বিশেষত বিদেশি যোদ্ধারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। আইএস নেতৃত্ব নিজেরাও তাদের খিলাফতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জটা অনুভব করছে—এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর অভিজ্ঞ রিপোর্টার জবি ওয়ারিক ১২ জুলাই এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, আইএসের নেতৃত্ব বিভিন্ন পাবলিক মেসেজে স্বীকার করছে যে তাদের খিলাফত সংকুচিত হয়ে আসছে। এ জন্য তারা নিজেদের জিহাদি সৈনিকদের মনে মনে প্রস্তুত করছে। ওয়ারিক লিখেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আইএসের সঙ্গে আছেন এমন এক ব্যক্তি ইন্টারনেট-ভিত্তিক এক অডিও সার্ভিসে পশ্চিমা এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন দেখছি ইরাক ও সিরিয়ায় আমাদের মূল ঘাঁটিগুলো আক্রান্ত, তখন আমরা আমাদের কিছু কমান্ড–ব্যবস্থা, মিডিয়া ও সম্পদ স্ট্রাকচার অন্যান্য দেশে স্থানান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলছে যে তারা আমাদের খিলাফতে এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে চায়। কিন্তু আমরা তাদের বলছি, তোমরা তোমাদের দেশেই থাকো, সেখানেই কিছু করার জন্য আমাদের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকো।’ লন্ডনের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আইএস নেতৃত্ব ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জিহাদিদের উদ্দেশে লিখছে, ‘হেই, ডোন্ট কাম টু সিরিয়া অ্যানি মোর। ডু অ্যান অ্যাটাক অ্যাট হোম।’ আইএস খিলাফত হারালে আমাদের আপাতত আনন্দিত হওয়ার সুযোগ ঘটবে না—এ কথা বলেছি এই লেখার একদম শুরুতেই।
‘খিলাফত’ পতনের কত রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, তার কিছু আলামত ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। ফালুজা হারানোর এক সপ্তাহ না পেরোতেই আইএস ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বাগদাদে। ঢাকার হামলাও সম্ভবত একই প্রতিক্রিয়ার অংশ। রমজান মাসজুড়ে অন্তত ১০টি দেশে হামলা চালিয়ে ৫ হাজার ২০০ মানুষকে হতাহত করেছে বলে তারা নিজেরাই দাবি করেছে। রমজান মাসে বিশেষ হামলা চালানোর বৈশ্বিক নির্দেশনা তারা দিয়েছিল প্রায় ছয় মাস ধরে ইরাক ও সিরিয়ায় একের পর এক এলাকা হারানোর প্রতিক্রিয়ায়। ‘খিলাফত’ বা সেফ হেভেন সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেললে আইএসের বিদেশি যোদ্ধারা, যারা মোট যোদ্ধাসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, তারা নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়ে হামলা চালাবে। আইএসের ‘খিলাফত’ রাষ্ট্রটি অনেকটা ভিমরুলের চাকের মতো, ওটা ভেঙে গেলে সব ভিমরুল ছড়িয়ে পড়বে দিকে দিকে। বাংলাদেশের বেশি জঙ্গি হয়তো সিরিয়া-ইরাকে যায়নি। কিন্তু এ দেশের ভেতরেই তাদের সংখ্যা কত, তা আমরা জানি না। যেসব তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন এবং জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত আছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁরা যদি আসলেই জঙ্গি হয়ে থাকেন, তাহলে দেশের ভেতরেই তাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, আরও জঙ্গি হামলা হতে পারে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। কিন্তু আশঙ্কা দূর করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, সরকার কি তা নিচ্ছে? কিংবা নেবে বলে কি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
মশিউল আলম: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।
mashiul.alam@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.