কাশ্মীর তুলনামূলক শান্ত

শঙ্কা ছিল, তাই গতকাল শুক্রবার কাশ্মীর উপত্যকার সব জেলাতেই কারফিউ জারি করা হয়। তবে শঙ্কা পুরোপুরি সত্য না হলেও সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়নি। গতকাল দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার ইয়ারিপোড়া পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে। সেখানে গ্রেনেড হামলা ও গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত ও পাঁচ পুলিশ আহত হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে অন্যসব এলাকা গতকাল তুলনামূলক শান্ত ছিল। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭-এ।
উপত্যকায় সাধারণত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার সীমান্তপার থেকে হিজবুল নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিন আরও হিংসার হুঁশিয়ারি শুনিয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকারও শুক্রবার কাশ্মীর নিয়ে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডেকেছিল। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল উপত্যকায় নতুন করে হিংসা ছড়াতে পারে। গুজব যাতে না ছড়ানো যায় সে জন্য ইন্টারনেট ও মুঠোফোন পরিষেবা এখনো বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সরকারি অফিস ও স্কুল কলেজ। নিরাপত্তারক্ষীদের প্রতি স্পষ্ট নির্দেশ ছিল সংযমী হওয়ার। অতিরিক্ত বাহিনীও পাঠানো হয়েছে।
বুধবার থেকেই উপত্যকা মোটামুটি শান্ত। প্রশাসন তবু কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ। এর একটি কারণ, হুরিয়ত নেতাদের হরতালের ডাক। দ্বিতীয় কারণ, পাকিস্তান থেকে অব্যাহত উসকানি।  পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। ঠিক হয়েছে, কাশ্মীরের জনগণের ওপর ‘অমানবিক অত্যাচারের’ প্রতিবাদে ১৯ জুলাই ‘কালা দিবস’ পালন করা হবে। নিহত হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানিকে ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ’ আখ্যা দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.