দরিদ্রবান্ধব-উৎপাদন-কর্মসংস্থানমুখী বাজেট চায় সিপিডি

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী বাজেট হওয়া উচিত দরিদ্র ও দুস্থবান্ধব, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানমুখী, বৈশ্বিক পরিস্থিতি সচেতন ও সংস্কারমুখী। আগামী বাজেটকে সামনে রেখে আজ রোববার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নতুন অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেট কেমন হওয়া উচিত—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। অর্থাৎ, বাজেটে গরিবের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকতে হবে। উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন সংস্কারের ব্যবস্থাও রাখতে হবে আগামী বাজেটে। এ ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতির কোনো অভিঘাত যাতে হঠাৎ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর আঘাত হানতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার কথা বলেছে সিপিডি। এতে সিপিডির লিখিত সুপারিশগুলো তুলে ধরেন অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ সময় সিপিডির গবেষণা দলের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সিপিডি বলছে, বাজেটের আকার বাড়ানোর চেয়ে বাজেট কাঠামোর গুণগত মান বাড়ানোর দিকে বেশি নজর দিতে হবে। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে দাবি সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, সেটিকে টেকসই রূপ দিতে হবে। বাজেট বাস্তবায়ন ও প্রাক্কলনের মধ্যে ঘাটতি বা তারতম্য ক্রমেই বাড়ছে। এটি হচ্ছে মূলত প্রাক্কলিত অর্জনের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রাক্কলন করার ফলে। তাই সিপিডি মনে করছে, বাজেটের প্রাক্কলনের ভিত্তি হওয়া উচিত বাস্তবায়নের সক্ষমতা ও বাস্তবতার নিরিখে।সিপিডি মনে করে, বর্তমান বাজেট কাঠামোতে সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, একদিকে মানুষের আয় বাড়ছে আবার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, অথচ আয়কর আদায় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সাধারণ নিয়মে আয় বাড়লে তার সঙ্গে সংগতি রেখে আয়কর আদায়ও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে বড় ধরনের বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.