আমরা কি পারি না এ ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে? by ইমদাদুল ইসলাম

সম্প্রতি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কৃষিবিষয়ক অসাধারণ এক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা সত্যিই আকর্ষণীয়। মাটির পুষ্টি জরিপের এ প্রকল্পে পুরো দেশকে বেশ কয়েকটা ভাগে বিভক্ত করে রাজ্যভিত্তিক মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে কোন রাজ্যের মাটির প্রকৃতি কী রকম, তা যাচাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, কোন রাজ্যের মাটিতে কী ধরনের সার প্রয়োগ করা যায়, মূলত তা নির্ধারণ করা। ‘মাটির পুষ্টি গুণাগুণ’ নির্ধারণের এ প্রকল্পে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মাটিতে সারের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন আশাতীত রকমের ভালো করা। ওই দেশের কৃষি বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এ জরিপের ফলে সারের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ পরিহার করে বিভিন্ন ধরনের সার থেকে একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা (যে অঞ্চলে যে ধরনের ফসল ভালো হয়) অনুসারে মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী সার নির্ধারণ করা। সারের মাত্রা নির্ধারণ ও কোন রাজ্যে কী ধরনের ফসল উৎপাদন হবে ইত্যাদিসহ একটা যুগোপযোগী কৃষিভিত্তিক মান নির্ধারণ করা, যা বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাত ধরে ভারতকে নিয়ে যাবে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো কৃষিতেও উন্নত দেশের সমকক্ষ অবস্থায়। সংক্ষেপে এটাই হল এ প্রকল্পের মূল ভিত্তি। প্রত্যেক রাজ্যের একটা জনাকীর্ণ স্থানে এ জরিপের ফলাফল টাঙানো থাকবে। কৃষক এটা দেখে তথ্যানুসারে কৃষিকাজ পরিচালনা করবে। বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ দেশে আমরা কি পারি না, এ ধরনের কোনো প্রকল্প হাতে নিতে? ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণের পর দেখা যায়, আমাদের কৃষক ঠিকভাবে সার পাচ্ছে না, পেলেও মাটির পুষ্টিগুণ অনুসারে সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে ‘অগ্নিকন্যার’ (মতিয়া চৌধুরী) হাত ধরে আমাদের কৃষি বিভাগ যদি এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়, তবে তা হবে দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর অন্যতম সোপান।
এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, মালিবাগ শাখা, ঢাকা

No comments

Powered by Blogger.