আইএসের হুমকিদাতা সিদ্ধার্থ ধর?

সিদ্ধার্থ ধর
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রকাশ করা পাঁচ ব্যক্তিকে হত্যার দৃশ্যসংবলিত সর্বশেষ ভিডিও চিত্রের হুমকিদাতা ব্যক্তিকে সিদ্ধার্থ ধর নামের একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়া সিদ্ধার্থ ধরের এক বোন বলেছেন, হুমকি দেওয়া লোকটির কণ্ঠ শুনে সেটিকে তাঁর ভাইয়ের কণ্ঠ বলেই মনে হয়েছে। তবে ওই লোকটিই যে তাঁর ভাই সিদ্ধার্থ ধর, সে বিষয়ে এখনো তিনি নিশ্চিত নন। ভিডিও চিত্রটি সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এটি পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়া আইএসের ‘মরিয়া’ প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই নয়। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে উদ্দেশ করে ভিডিওটি পাঠায় আইএস। এতে যে পাঁচজনকে হত্যা করতে দেখা গেছে তারা যুক্তরাজ্যের হয়ে আইএসের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করছিল বলে দাবি জঙ্গিদের। ১০ মিনিটের ভিডিওতে পাঁচ হত্যাকারী ছাড়াও অন্য যে দুজনকে দেখা যায়, একজন অল্পবয়সী। প্রাপ্তবয়স্ক অপরজন মুখোশ পরিহিত ছিলেন। এই দুজন ব্রিটিশ ইংরেজি উচ্চারণে যুক্তরাজ্যে হামলার হুমকি দেয়। বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিটিকে ব্রিটিশ নাগরিক সিদ্ধার্থ ধর বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একটি দাপ্তরিক সূত্র বলেছে, সিদ্ধার্থই এখন ভিডিও-সংশ্লিষ্ট তদন্তের মূল বিষয় হয়ে উঠেছে। ওই সূত্রের ভাষ্য, ‘বহু মানুষ মনে করছে, এটা সে-ই।
’ব্রিটিশ হিন্দু পরিবারে জন্ম নেওয়া সিদ্ধার্থ ধর পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা ছিলেন। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তিনি আবু রুমাইশাহ নাম গ্রহণ করেন। সন্ত্রাসবাদ উৎসাহিত করার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। তবে ২০১৪ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিরিয়ায় চলে যান। সেখান থেকে ইন্টারনেটে নিজের ছবিও প্রকাশ করেন, যাতে তাঁকে কাঁধে অস্ত্র ও এক হাতে নিজের শিশুসন্তানকে ধরে রাখতে দেখা যায়। সিদ্ধার্থের বোন কণিকা ধর ভিডিওটির অডিও ক্লিপিং প্রথমে শুনে বলেন, এটি তাঁর ভাইয়ের কণ্ঠ বলেই মনে হচ্ছে। তবে একটি ক্লিপ দেখার পর কণিকা বলেন, তিনি এখন নিশ্চিত হতে পারছেন না। এদিকে চ্যানেল ফোর নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ভিডিওটিতে থাকা অল্পবয়সী ছেলেটিকে নিজের নাতি বলে শনাক্ত করেছেন দক্ষিণ লন্ডনের এক ব্যক্তি। সানডে ডেয়ার নামে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেছেন, এটি তাঁর নাতি ইসা ডেয়ার, যাকে সিরিয়ায় নিয়ে গেছেন তাঁর মেয়ে গ্র্যাসে ডেয়ার। ব্রিটিশ-নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত গ্র্যাসে ডেয়ার ধর্মান্তরিত হয়ে খাদিজা নাম নিয়েছেন। ২০০৯ সালে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে ২২ বছর বয়সে তিনি সিরিয়ায় যান।

No comments

Powered by Blogger.