সালাউদ্দিনকে বাঁচাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বৃটেনের ফার্নেস হিল এলাকার এলএল স্পাইসি রেস্তরাঁয় ওয়েটারের কাজ করতেন ২৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী সালাউদ্দিন আহমেদ। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ২২ বছর বয়সে অন্ত্রের ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। এক বছর আগে ভিসার মেয়ার শেষ হওয়ায় বৃটেন ছাড়তে হয় সালাউদ্দিনকে। সে সময় ওয়েলসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে ফেরার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর সালাউদ্দিনের বন্ধু রুকসানা ও আব্দুল আশিক #সেভসালাউদ্দিন নামে একটি ‘গো ফান্ড মি ক্যাম্পেইন’ চালু করেছে। এতে রুকসানা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত দরিদ্র একটি পরিবার থেকে এসেছেন সালাউদ্দিন। তার পরিবার ও স্ত্রী ইতিমধ্যে তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে জমিজমাসহ সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। তিনি যেখানে আছেন সেখানে এর চিকিৎসা না থাকায়; যেন তিনি ভারতে গিয়ে জীবন বাঁচানোর জন্য চিকিৎসা নিতে পারেন সে জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ হাজার পাউন্ড প্রয়োজন।’ উল্লেখ্য, ওই প্রচারণা শুরু হওয়ার পর ইতিমধ্যে প্রায় ১৫০০ পাউন্ড সহায়তা এসেছে। ওই অনুদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রুকসানা বলেছেন, ‘প্রত্যেকের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আর সেটা এক পাউন্ড হোক না কেন।’ ২০০৯ সালে প্রথমে যুক্তরাজ্যে যান সালাউদ্দিন। লেউইশামের ক্যাটফোর্ড কলেজে প্রকৌশল বিষয়ে ডিগ্রি নেন তিনি। সে সময় ছুটির দিনগুলোতে এলএল স্পাইসে কাজ করতেন তিনি। ২০১১ সালে ওয়েলসের হেভারফোর্ডওয়েস্ট এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর পেটে চরম ব্যথা শুরু হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার অন্ত্র ফেলে দিয়ে সেখানে কোলোনোস্কপি থলি স্থাপন করা হয়। সালাউদ্দিনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছেন এলএল স্পাইসের সাবেক ম্যানেজার আব্দুল আশিক। তিনি বলেন, সালাউদ্দিন খুবই প্রাণবন্ত আর উচ্চাকাঙ্ক্ষী এক ছেলে। একাধারে তিনি ছিলেন খুব কঠোর পরিশ্রমী। অবিরাম পড়াশোনা আর কাজ করতেন। আব্দুল আশিক বলেন, আমার জানামতে সতিকার অর্থে অন্যতম ভালো এবং যত্নশীল এক ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এখন তিনি খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছেন। বলতে গেলে একেবারে কঙ্কালসার হয়ে গেছেন। এ কারণেই আমরা সকলের কাছে যে যা পারে অনুদানের আহ্বান জানাচ্ছি যেন তিনি বাঁচার জন্য চিকিৎসা নিতে পারেন। আবদুল ও রুকসানা আশিক তাদের অনলাইন ‘গো ফান্ড মি’ পাতায় অনুদান দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অনলাইনে পাতাটির লিঙ্ক: http:/ww/w.gofundme.com/ savesalauddin। আর হ্যাশট্যাগ সালাউদ্দিন (#SaveSalauddin) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালাউদ্দিনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সালাউদ্দিনের ঘটনাটি প্রচারণার জন্য বৃটেনের এক্সপ্রেস অ্যান্ড স্টারে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের জন্য ‘গো ফান্ড মি’ পাতায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন রুকসানা।

No comments

Powered by Blogger.