সবাই খুশি হলে পুরস্কারের মূল্য বেড়ে যায় -সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আনিসুজ্জামান

স্বাধীনতা পদক ও পদ্মভূষণ প্রাপ্তিতে গতকাল বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের
পক্ষ থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়
আয়োজকেরা বলছিলেন খুবই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। মুষলধারে বৃষ্টি সেটাকে আরও সংক্ষিপ্ত করে ফেলবে বলে শঙ্কা হলো। তবে বৃষ্টির মাঝেই একে একে এলেন অতিথিরা। একজন কৃতবিদ্য মানুষকে সংবর্ধনা জানানো হবে। মানুষটি সম্প্রতি স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ভারত থেকে পেয়েছেন পদ্মভূষণ পদক। তিনি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তাঁকেই সংবর্ধনা জানাল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে আয়োজকদের পক্ষে লুভা নাহিদ চৌধুরী তাঁর সম্পর্কে একটি লিখিত শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন। মানুষটির অবদান তাতে অনেকটাই ফুটে ওঠে। তাতে বলা হয়, ‘জাতীয় যেকোনো সংকটে ও মানুষের মঙ্গল-আকাঙ্ক্ষায় সমাজজীবনে যে সংগ্রাম চলছে, তাতে নেতৃত্বের দায় বহন করেন তিনি। গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সমাজের যে স্বপ্ন জাতি লালন করে, তা বাস্তবায়নের প্রয়াসে তিনি আমাদের উৎসাহিত করেন।’
আনিসুজ্জামান সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পৃক্ততার নানা স্মৃতি তুলে ধরেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘পুরস্কার পেতে সবার ভালো লাগে। আমিও ব্যতিক্রম নই। যখন দেখি, এতে চারপাশে সবাই খুশি হয়েছে, তখন পুরস্কারের মূল্য অনেক বেড়ে যায়। পুরস্কার পেলে নাকি দায়িত্ব বেড়ে যায়। জীবনের যে পর্যায়ে পৌঁছেছি, তাতে খুব বেশি দায়িত্ব পালনের আর সুযোগ নেই।’
অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাঁকে একটি উপহার দিতে চেয়েছিলেন আয়োজকেরা। আনিসুজ্জামানের এই অর্জনের জন্য যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি তাঁর স্ত্রী সিদ্দিকা জামান। শিল্পী রোকেয়া সুলতানার সাম্প্রতিক একটি চিত্রকর্ম উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় সিদ্দিকা জামানের হাতে। সে সময় মঞ্চে ছিলেন আবদুল খালেক মেমোরিয়াল স্কুলের চেয়ারপারসন মমতাজ খালেক।
উপস্থিত অতিথিদের গান শোনান শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ান, লাইসা আহমেদ, বুলবুল ইসলাম ও অদিতি মহসিন।

No comments

Powered by Blogger.